চলতি হজ মৌসুমে প্রথমবারের মতো বিশ্বের ৫০টি ভাষায় অনুবাদ করা হবে হজের খুতবা। বিশ্বের প্রায় সব প্রান্তের মানুষের কাছে হজ ও ইসলামের শান্তির বার্তা পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
সৌদি আরবের মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগ জানিয়েছে, এবার আরাফার ময়দান থেকে প্রচারিত হজের খুতবার অনুবাদ প্রচার করা হবে বিশ্বের ৫০টি ভাষায়।
খাদেমে হারামাইন শরিফাইন বাদশা সালমান বিন আব্দুল আজিজের তত্ত্বাবধায়নে এটিই এখন পর্যন্ত হজের খুতবা অনুবাদের সবথেকে বড় প্রজেক্ট।
সৌদি সংবাদ মাধ্যম এসপিএ-এর খবরে বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে বাংলা, উর্দুসহ বিশ্বের ৫০টি দেশের ভাষাভাষীর কাছে হজের খুতবার আহ্বান পৌঁছানো উদ্দেশ্য।
২০১৮ সালে সর্বপ্রথম বিশ্বের পাঁচটি আন্তর্জাতিক ভাষায় হজের খুতবার অনুবাদ প্রচার করা হয়। এরপরের বছর ১০টি ও ২০২২ সালে ১৪টি ভাষায় হজের খুতবার অনুবাদ করা হয়। ২০২৩ সালে তা বাড়িয়ে ২০টি ভাষায় অনুবাদ করা হয়।
এ বছর এক দশকেরও কম সময়ে হজের খুতবা অনুবাদের পরিধি বাড়িয়ে তা ৫০ ভাষা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।
এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের মাধ্যমে সৌদি আরব রাষ্ট্রীয়-ধর্মীয় সহনশীলতা, সংযম ও শান্তির বার্তা তুলে ধরতে চায়, যাতে ইসলামের প্রকৃত চিত্র এবং এর উচ্চ মূল্যবোধ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।
গত বছর যেসব ভাষায় হজের খুতবা অনুবাদ করা হয়েছিল, তার মধ্যে অন্যতম হলো— বাংলা, ফরাসি, ইংরেজি, ফার্সি, উর্দু, হাউসা, রুশ, তুর্কি, পাঞ্জাবি, চীনা, মালয়, সোয়াহিলি, স্প্যানিশ, পর্তুগিজ, আমহারিক, জার্মান, সুইডিশ, ইতালিয়ান, মালায়ালাম, বসনিয়ান, ফিলিপিনো এবং ফিলিপিনো ভাষা।
স্মার্ট ফোন, হারামাইন শরিফাইনের ওয়েবসাইট, মানারাতে হারামাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে শোনা যাবে হজের খুতবা।
প্রসঙ্গত, এ বছর হজের মূল খুতবা আরবিতে প্রদান করবেন মসজিদুল হারামে ইমাম ও খতিব শায়েখ মাহের আল মুয়াইকিলি। তার প্রদত্ত সেই খুতবার বাংলা অনুবাদ করবেন সৌদি আরবে অধ্যয়নরত চার বাংলাদেশী শিক্ষার্থী। তারা দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত।
তারা হলেন— মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. খলীলুর রহমান, আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কী ও মুবিনুর রহমান ফারুক এবং জেদ্দার কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাজমুস সাকিব। গত বছরও খুতবার অনুবাদ করেছিলেন এই চার বাংলাদেশী শিক্ষার্থী।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর