সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় এক ছাত্রীকে অপহরণের ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও মামলা নেয়নি থানা পুলিশ। এবং ওই ছাত্রীকে এখন পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। গত তিন জুন বাড়ি থেকে থানার সাহেবগঞ্জ বাজারে যাবার জন্য। পথে দেশবন্ধু মাঠের পাশ থেকে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
সলঙ্গা থানায় জমা দেওয়া অভিযোগ সূত্রে যানা যায়, সলঙ্গা নলকা ইউনিয়ন কুমাজপুর গ্রামের বাসিন্দা ও সাম্প্রতিক সাহেবগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের থেকে এস এস সি পরীক্ষা উত্তীর্ণ হয়েছে ছাত্রী।
ঐ ছাত্রীকে গত ৩ জুন সাহেবগঞ্জ বাজারে যাওয়ার পথে কুমাজপুর এলাকার দেশ বন্ধু মাঠের পাশ থেকে কুমাজপুর গ্রামের মকুল হোসেনের ছেলে রাসেল রানা ও তার মামা সুমনে সহযোগীতায় একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে যায়। স্থানীয় কুলছুম নামে এক নারী তা দেখে ওই ছাত্রীর পরিবারকে অবগত করে। পরে ছাত্রীর পরিবার অনেক খোঁজাখুজির পর না পেয়ে ছাত্রীর মামা এরশাদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫জুন তিন জনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ছাত্রীর মামা এরশাদুল ইসলাম জানায়,
আমার ভাগ্নী অপহরণের ঘটনায় সলঙ্গা থানায় তাদের জমা দেওয়া লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুমন আলী (২৮) নামের এক যুবককে আটক করে ছেড়ে দিয়েছে। এরপর থেকে আসামিপক্ষের লোকজন ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে।
তবে পুলিশ বলছে, সুমন তাদের সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলেন, তাই তাকে আটক করা হয়নি। তবে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করতে সুমনকে চাপ দেওয়া হয়েছে।
ছাত্রীর মামা আরোও বলেন, আমার ভাগ্নী অপহরণ হয়েছে আমার ভাগ্নীকে উদ্ধার করে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিবে তা না করে, থানা পুলিশের লোক জন আমাদের বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছে।
এবিষয়ে রাসেলের মামা সুমনের সাথে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সে ফোন কল রিসিভ করেন নাই।
এ বিষয়ে রাসেলের বাবা মুকুলের কাচিয়ার চরচর বাড়িতে গেলে তার পরিবারের লোক জন বলেন,বিগত ৮ বছর যাবৎ রাসেলের সাথে কোনও যোগাযোগ নাই আমাদের। গত ৮ বছর আগে রাসেলের মা' কে ডিভোর্স দিয়েছে তার বাবা মুকুল। সেই থেকে রাসেল তার মায়ের সঙ্গে নানা-নানি বাড়ি থানার কুমাজপুরে থাকে।
সলঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লতিফ বলেন,আমাদের উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে। তবে তাদের অভিযোগ সত্য না। তাদের আসতে বলেন, আমরা মামলা নেব।সলঙ্গা থানার (তদন্ত) অফিসার তাজউদ্দিন আহম্মেদ জানান, থানায় একটি অভিযোগ করেছে ছাত্রী'র মামা, অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে মামলাই বড় বিষয় না উদ্ধার করাটাই আমাদের মূললক্ষ। যে কোনও ভাবে ছেলে ও মেয়েকে আমরা উদ্ধার করবো।
সর্বশেষ খবর