বরাবরই উন্নয়নের রূপধারী জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের নকশা। আর তার প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার "BELA"-সহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন ও পরিবেশকর্মীরা সংহতি জানিয়ে " জাহাঙ্গীরনগর বাঁচাও আন্দোলন" ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি আয়োজন করে।
এ বরাদ্দ জায়গায় অতিথি পাখিদের বিচরণ স্থান হিসেবে একটি জলাশয় রয়েছে যা ভবন নির্মানার্থে বিপর্যয়মূখী। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞানীদের ধারণা অনুযায়ী, জলাশয়ের পাড়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হলে পাখির ফ্লাইং জোন ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তা সত্ত্বেও প্রশাসন মাস্টারপ্ল্যান এর প্রতি অনাগ্রহ দেখিয়ে শত শত গাছ কেটে ফেলেছে ও জলাশয় ভরাট করছে।
কলা ও মানবিকী অনুষদের সম্প্রসারিত ভবনের স্থানে লেক ভরাটের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসের পরিচালক নাসির উদ্দিন বলেন, এখানে ভরাটকৃত জায়গায় লেকটা কোথায়? এখানে ঢালু এবং নীচু জায়গায় এজন্য এটি ভরাট করা হয়েছে। জলাশয়ে পানি থাকবে কিন্তু এখানে তো কিছু নাই। যদি আপত্তি থাকে অভিযোগ থাকে তাহলে এটাকে বাদ দিয়ে দেখি কীভাবে রিএরেঞ্জ করা যায়। যতটুকু ভরাট করা হয়েছে আমরা ঠিকাদারকে সরিয়ে নিতে বলেছি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আমাদের অজান্তেই যদি জলাশয় ভরাট করে ফেলে তাহলে মাটি সরিয়ে নিতে বলছি।
জলাশয় ভরাটের বিষয়ে জানতে চারুকলা অনুষদ ভবনের প্রকল্প পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক এম এম ময়েজউদ্দিনের সাথে টানা তিনদিন যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হননি। প্রথম দিন ফোন রিসিভ করেননি। দ্বিতীয় দিন প্রশ্ন করার পর মিটিংয়ের কথা বলে কেটে দেন। এছাড়া তৃতীয় দিন প্রথমবার মোবাইল কলে রিং হলেও পরেরবার মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর