কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলার সুরমা, চেলা, চলতি, খাসিয়া মারাসহ উপজেলার সকল নদীর পানি শনিবার ভোর থেকে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দুপুরে উপজেলার খাসিয়ামারা নদীর প্রবল স্রোতের তোরে লক্ষীপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া, ইদ্রিসপুর, চৌকিরঘাট বেঁড়িবাধ ভেঙে বিভিন্ন হাওরে পানি প্রবেশ করায় ঘর বাড়ির আসবাবপত্র, গবাদিপশু, আমনের বীজতলা, আউশ, সবজি ও পুকুরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বোগলা বাজার ইউনিয়নের ক্যাম্পের গাঁট নামক স্থানে চিলাই নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সুরমা ইউনিয়নের টিলাগাও-টেংরাটিলা যাতায়াত রাস্তা বেরীবাধ ভেঙে গেছে।মহব্বতপুর বাজার-লিয়াকতগঞ্জ বাজার সড়কের নোয়াপাড়া নামকস্থানে বেরীবাধ ভেঙে উপজেলা সদরের সাথে লক্ষীপুর ইউনিয়নের ২৮টি ও সুরমা ইউনিয়নের ৫টি গ্রামসহ সীমান্তের লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। বাংলা বাজার ইউনিয়নের পেকপাড়া,চৌধুরীপাড়া,মৌলারপাড়,চিলাইপাড়, পুরান বাশঁতল গ্রামের অনেক ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে ক্ষয়ক্ষতির হওয়াসহ কৃষকের পুকুর ও বীজ তলা নষ্ট হয়েছে।
লক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জানান, আমার ইউনিয়নের নোয়াপাড়া, ইদ্রিসপুর, চৌকির গাঁট নামক স্থানে তিন ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে এছাড়াও প্লাবিত হচ্ছে বেশ কিছু গ্রাম। শুকনো খাবার ও নিরাপদ পানি জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করেছি।
সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ জানান ,সুরমা ইউনিয়নের কিছু সংখ্যক বাড়ি ঘরে পানি উঠেছে তাদের জন্য শুকনো খাবার ও নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করা হবে।
বোগলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মিলন খান জানান, ক্যাম্পেরঘাট গ্রামের সাবেক বিজিবি ক্যাম্পের পাশে চিলাই নদীর বেরীবাধ ভেঙে বোগলাবাজার ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও পুকুরের মাছ ও বাড়ী ঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেহের নিগার তনু জানিয়েছেন, পাহাড়ি ঢলে উপজেলায় কয়েক স্থানে বেরীবাধ ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়েছি ক্ষতি গ্রস্থ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গনের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ