লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ২০নং চর রমনী মোহন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান কর্তৃক রেজুলেশনকৃত তালিকাভূক্ত গরু—মহিষ চোররা এলাকাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয়—প্রশ্রয়ে দাপটের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এমনকি এ গরু—মহিষ চোর দাদন মিয়া, এফরান মোল্লা, সফি মোল্লাসহ অন্যান্য গরু চোরদের সঙ্গে বর্তমানে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবু ইউসুফ এর স্বক্ষতা দেখা যাচ্ছে। চেয়ারম্যান কর্তৃক রেজুলেশন করা হলেও এ চোরদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেননি।
গত ৩ মার্চ—২০২৪ইং তারিখে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবু ইউসুফ ও ইউপি সদস্যগণদের সিদ্ধান্ত ক্রমে এলাকায় বিভিন্ন সময় গরু—মহিষ চুরিতে ধৃত এবং বিভিন্ন চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ত চোরদের একটি তালিকা তৈরি করেন। পরে এ চোরদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে রেজুলেশনকৃত ১৮জন চোরের তালিকা প্রেরণ করেন।
চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য কর্তৃক রেজুলেশনকৃত চোররা হলো— মৃত মুকবুল মোল্লার পুত্র সফি মোল্লা, সফি মোল্লার পুত্র কামাল মোল্লা, শাহিন, মফিজ সর্দার এর পুত্র হারুন সর্দার, মরু সর্দার এর পুত্র ফরহাদ, বশির মোল্লার পুত্র সাইজউদ্দিন, দানু আকন এর পুত্র শিপন, রহমান মোল্লার পুত্র এফরান মোল্লা, সামছল দেওয়ান এর পুত্র আমির োহসেন, ছিতু সর্দার এর পুত্র ফারুক, সাদ্দাম, হারিছ এর পুত্র হোসেন, মজিদ গোল্দার এর পুত্র রফিক গোল্দার, রুহুল আমিন এর পুত্র মুরাদ, মোফাজ্জল ব্যাপারীর পুত্র রাকিব হোসেন, সেকান্তর মৃধার পুত্র দাদন মিয়া, আমির হোসেনের পুত্র সবুজ ও সিরাজের পুত্র ইয়াছিন।
এই চোর চক্রের মধ্যে একই পরিবারের রয়েছেন তালিকা ভুক্ত ৭জন। এর মধ্যে সক্রিয় চোর দাদন মিয়া, তার মামা এফরান মোল্লা, আপন খালু সফি মোল্লা, খালাতো ভাই কামাল মোল্লা, শাহিন, হারুন সর্দার, ফরহাদ। এ চোর চক্রের প্রধান হচ্ছে শাহাজালাল মোল্লা।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি শাহজালাল মোল্লা (লেক্কা চোরা)কে হত্যা মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে গ্রেফতারের পর এলাকায় বর্তমানে বিরাজ করছে শান্তি শৃঙ্খলা। গ্রেফতার করার পর থেকে এখন পর্যন্ত এলাকায় কোন গরু—মহিষ চুরি কিংবা ডাকাতির কোন ঘটনা ঘটেনি। শাহজালাল মোল্লা জেল—হাজতে থাকার কারণে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির হাটে নির্বিঘ্নে গরু—মহিষ বিক্রি করতে পেরেছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী আরও জানান, গ্রেফতারকৃত শাহজালাল মোল্লা জেল থেকে আসলে এলাকায় গরু—মহিষ চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটবে বলে আতংকে রয়েছে। কেন না তালিকাভূক্ত একটি চোরকেও আইনের আওতায় নেওয়া হয়নি।
বিশ্বস্ত সূত্রে আরও জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত শাহজালাল মোল্লার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এ চোর চক্র। এ চোরদের নেই কোন দৃশ্যমান ব্যবসা বানিজ্য। অথচ গত কয়েক বছরের ব্যবধানে টাইল্স বসানো আলিশান বাড়ী তৈরি করেন শাহজালাল। এরফান মোল্লাও নির্মাণ করছেন ৩ তলা বিশিষ্ট ভবন। দাদন মিয়া দিনের বেলায় কোন কাজের সাথে সম্পৃক্ত না থাকলেও চালাচ্ছেন আলিশান জীবন, চলেন দাফটের সহিত।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবু ইউসুফ এর বক্তব্য নেওয়ার জন্য মুঠোফোনে ফোন দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।
লক্ষ্মীপুর মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সাইফ উদ্দিন আনোয়ার বলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কার্যালয় থেকে চর রমনী মোহন ইউপির গরু—মহিষসহ এলাকায় অন্যান্য চুরির সঙ্গে ধৃত চোরদের একটি তালিকা আমাদের দেওয়া হয়েছে। চোরদের ব্যাপারে যাচাই—বাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর