![BD24LIVE.COM](https://www.bd24live.com/bangla/public/logo-bd24live.png)
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গার সব পণ্যের দাম উর্ধ্বমুখী। দাম বেড়েছে মুরগির মাংসে, গরুর মাংসে, খাসির মাংসে, ডিম এবং আদা পেয়াঁজ রসুনসহ সব ধরনের মসলা জাতীয় পণ্যে। গতকাল শনিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা শহরের নিচের বাজার দামের চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাংসের প্রধান মসলার মধ্যে আদা অন্যতম। যেখানে মাংসে আদা না হলে মাংসের স্বাদের ঘ্রাণ আসে না। আর এই আদার ঘ্রাণের দামে আগুন ছড়াচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে আর ঈদকে সামনে রেখে কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে আদার কেজি এখন ৩০০ টাকা। তবে কোনো কোনো পাইকারি আড়তে আদা বিক্রি হয়েছে ৩৩০ টাকা কেজি। যা সাধারণ ভোক্তাদের কাছে অনেকটা নাগালের বাইরে। দাম বাড়তি পেয়াঁজে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। আর রসুনের দামে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২০০ টাকা কেজি রসুন।
একইভাবে কাঁচা মরিচে ২০ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকা কেজি। স্বস্তি নেই আলুর বাজারে। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে আলু। সব ধরনের ডালে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বাড়তি। আর শুকনো মরিচে ৫০ টাকা বেড়ে এক কেজি এই মরিচ ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে মুদি দোকানে। বাজেটের পর রাতারাতি দাম বাড়ে ডিমের। তাই বাজেটের পর থেকে ডিমের দামে আবারও ৩০ বাড়তি হয়ে এক খাঁচি ডিম এখন ৩৯০ টাকা। গেল একমাস ধরে এলাচের দামে কোনোভাবে স্বস্তি আসছে না। আগের মতোই কেজিতে ৬০০ টাকা বেড়ে ৩ হাজার ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে এক কেজি এলাচ। আর অন্যান্য সব ধরনের প্যাকেটজাত মসলায় ৩ টাকা বাড়তি।
এদিকে ঈদকে সামনে রেখে মাংসের বাজার যেন লাগামহীন। গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গার নিচের বাজারে গরুর মাংস বিক্রি করা হয়েছে সেই আগের দামেই ৭৫০ টাকা কেজি। আর ঈদকে ঘিরে খাসির মাংসে ৫০ টাকা বেড়ে এক কেজি এই আমিষ পণ্য ১ হাজার টাকা। ফলে সাধারণ মানুষ মাংসের দাম শুনে ব্যাগ শূন্য করে বাজার থেকে বাড়ি চলে যাচ্ছে।
এদিকে নিম্ন আয়ের মানুষের আমিষ পণ্য ব্রয়লার মুরগির কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২৬০ টাকা কেজি। তবে কিছু মুরগি ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির মাংস দাম নিয়েছে ২৮০ টাকা কেজি। সোনালি ও প্যারিসের মুরগির মাংস কেজিতে ৩০ টাকা বাড়তি। আর দেশি জাতের মুরগির মাংস আকাশ সমান দাম। এক কেজির দাম ৬৫০ টাকা। তবে দামে স্বস্তি রয়েছে সব ধরনের সেমাই, পোলাও চাল ও সয়াবিন তেলে।
বাজারে আসা এক ক্রেতা ইলিয়াস হোসেন বলেন, বাজারের সব জিনিসের দাম বেশি। মুরগির মাংস কেনার কায়দা নেই। ঈদের সামনে সব জিনিসের দাম বাড়তি। এই ভাবে সব খাদ্য পণ্যের দাম বাড়তে থাকলে আমরা সাধারণ জনগণ কি ভাবে খাবার ক্রয় করবো। সেটায় এখন ভাবার বিষয়।
আরেক ক্রেতা হাসিবুর রহমান বলেন, শুধু যে ঈদের সামনে রেখে জিনিসের দাম বাড়ে তা তো না। নিত্যপণ্যের দাম প্রতিদিন ওঠানামা করে। আর এই নিচের বাজারের সব ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পণ্যে ইচ্ছে মতো দাম হাঁকাচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলা মার্কেটিং অফিসার সহিদুল ইসলাম বলেন, বাজারে এখন ঈদের জন্য মসলার দাম মাংসের দাম ও অন্যান্য কিছু পণ্যেও দাম বাড়তি। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কেউ যেন দাম বৃদ্ধি না করে সেজন্য প্রশাসন থেকে ব্যবসায়িদের সচেতন করা হয়েছে। আর বাজার মনিটরিং অব্যাহত আছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর