আমি এমপি থাকাকালীন ভাঙ্গায় কোন দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাজাবাজি, দখলবাজি করতে দেব না বলে মন্তব্য করেছেন ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরীর (নিক্সন)।
তিনি আরও বলেন, এর আগেও ভাঙ্গায় ঘুষ বাণিজ্য করে দোকানঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। আমি জনগন কে সাথে নিয়ে প্রতিহত করেছি।
রবিবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় ভাঙ্গা ঈদঁগা মাদ্রাসা মোরে অবৈধ দোকান ঘর উচ্ছেদ অভিযানে এই মন্তব্য করেন।
স্থানীয় সূত্রের জানাযায়, প্রায় ৫০ বছর যাবত ঈদঁগা মাদ্রাসার সামনে দোকান গুলি সরকারের থেকে লিজ নিয়ে মাদ্রাসার নামেই চলতো এবং দোকান ভাড়া থেকে আদায় করা টাকা ব্যায় হতো মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পিছনে। কিছুদিন আগে ভাঙ্গা বাজার ঈদঁগা মসজিদের এর উন্নয়নের কাজে এসব ঘর ভেঙ্গে ফেলা হয়। এরপর স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ও প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ঐ জমির লিজ নিয়ে ঘর তৈরি করে। এরপরে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরীর (নিক্সন) সরজমিনে দেখে মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষক ও স্থানীয় জনতাদের নিয়ে এসব ঘর উচ্ছেদ করা হয়।
এই বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেশকাতুল জান্নাত রাবেয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এসময় ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরীর (নিক্সন) বলেন, আমি যতদিন ভাঙ্গায় এমপি থাকবো, ততদিন ভাঙ্গায় কোন প্রকার দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাজাবাজি, দখলবাজি করতে দেব না। উপজেলা নির্বাচনের আগে মসজিদ এবং মাদ্রাসার সামনে সরকারি খাস জমিতে মাদ্রাসার প্রায় ২০টি দোকান ছিল। এসব দোকান থেকে মাদ্রাসার শিক্ষক এবং এতিমদের থাকা-খাওয়া চিকিৎসা খরচ যোগাত। কিন্তু প্রশাসনের লোকের সহায়তায় স্থানীয় লোকজন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ডিসিআর নিয়ে দখল করে। আমার কাছে অভিযোগ আসছে। আজকে আমি সরেজমিনে দেখেছি।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর