মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় সারাদেশের ন্যায় কিশোরগঞ্জেও উদযাপিত হচ্ছে মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করছেন।
সোমবার (১৭ জুন) সকালে কিশোরগঞ্জের মহল্লায় মহল্লায় নামাজ শেষে নিজ-নিজ পশু কোরবানি করছেন মুসলমানরা। কিশোরগঞ্জের প্রতিটি অলিগলিতেই পশু কোরবানির দৃশ্য চোখে পড়ে।
কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও বাসার নিচের গ্যারেজে, কোথাও বাসার সামনের রাস্তায়, আবার কোথাও এলাকার ফাঁকা মাঠের মধ্যে পশু কোরবানি চলছে।
এদিকে, চুক্তিতে পশুর মাংস কাটতে আসা কসাইরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। একটার পর একটা পশুর চামড়া ছাড়িয়ে মাংস প্রস্তুত করে দিচ্ছেন তারা।
কিশোরগঞ্জ শহরের শিক্ষক পল্লীর বাসিন্দা ফাহিম আহমেদ হিমেল বলেন, আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় আমরা পশু কোরবানি করি। আল্লাহ তৌফিক দিয়েছেন তাই প্রতিবার চেষ্টা করি কোরবানি দেওয়ার। নিজেদের আনন্দ অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার। পশু কোরবানির মাধ্যমে মনের পশুত্ব কোরবানি হোক সেই প্রার্থনা করি।
উকিলপাড়ার বাসিন্দা রবিউল আওয়াল আকাশ বলেন, শুরুর দিকে গ্রামে ঈদ করা হতো। এখন নানা কারণেই শহরেই ঈদ করা হয়। তাই এখানেই পশু কোরবানি করছি। সকালে নামাজ পড়ে এসেই পশু কোরবানি করা হয়েছে। এখন চামড়া ছাড়ানোর কাজ করছেন কসাইরা। গোশত কাটা শেষ হলে গরিবদের গোস্তো বিতরণ করবো, আত্মীয়দের বাসায় পাঠাবো।
এদিকে, কোরবানির জন্য পশু কিনলেও সবাই আজ কোরবানি করছেন না। কেউ কেউ ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনও পশু কোরবানি দেবেন। এরমধ্যে অধিকাংশই কসাই না পাওয়ায় প্রথম দিন পশু কোরবানি করছেন না।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর