ভারত থেকে অব্যাহত ভাবে সীমান্ত নদী গুলো দিয়ে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানি ভাটির দিকে প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে হু হু করে বাড়ছে সুনামগঞ্জের সকল নদ নদী ও হাওরের পানি। এতে করে ডুবে গেছে নিন্মাঞ্চলের সড়ক,বসত বাড়িতেও পানি উঠার উপক্রম হচ্ছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে ৭ লক্ষাধিক মানুষ। ফলে ঈদের আনন্দ নেই সুনামগঞ্জের বাসিন্দাদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার সুরমা, যাদুকাটাসহ ২৬ টি নদ নদীতে ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার উপজেলার ঢলের পানিতে পানি বন্ধি হয়ে আছে ৩ লাখ মানুষ।
এছাড়াও টানা ভারি বর্ষনে জেলার তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, জগ্ননাথপুর, ধর্মপাশা উপজেলায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে এসব উপজেলার নদী দিয়ে পানি ভাটির দিকে প্রবল বেগে অগ্রসর হওয়ায় নদীর তীরবর্তী বসত বাড়ি রয়েছে ভাঙ্গনের হুমকির মুখে পড়েছে ও নিন্মাঞ্চলের সড়ক পানিতে ডুবে গেছে।
এছাড়াও জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক তাহিরপুর বিশ্বম্ভরপুর সুনামগঞ্জ সড়কের দূর্ঘাপুর ও শক্তিয়ারখলা সড়ক এবং আনোয়ারপুর সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জেলার শহরের সাথে চলাচল করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে ধর্মপাশা,মধ্যনগর উপজেলাসহ ৫টি উপজেলার মানুষ।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা খরচার হাওরের কৃষক সাদেক মিয়া,শরীফ আহমেদ জানান,এবার ঈদের আনন্দ নেই, পাহাড়ি ঢলের পানির জন্য সব শেষ। কখন জানি পানি বেড়ে গিয়ে বাড়ি ঘরে ডুকে পরে এই আতংকে আছি। গত ২০২২ সালে এক ঘন্টার ব্যবধানে বসত বাড়ি পানিতে ডুবে যায়। ঘর ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে হয়েছিল।
ভাটি পাড়া এলাকার বাসিন্দা জামাল মিয়া,ডালিম মিয়া জানান,একদিকে বৃষ্টি হচ্ছে আর ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে কখন কি যে হয় বুঝা যায় না।
তবে বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের পানি দুইয়ে মিলে এবার বন্যার আশংকা করছি। এদিকে রাত পোহালেই কোরবানি ঈদ পানি বাড়ার কারনে ঈদের আনন্দ ভুলে পরিবার পরিজন নিয়ে উৎবেগ আর উৎকন্ঠায় মধ্যে আছি।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান,ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টির কারনে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বল্প মেয়াদি বন্যার আশংকা রয়েছে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর