![BD24LIVE.COM](https://www.bd24live.com/bangla/public/logo-bd24live.png)
কোরবানির গরু নিয়ে উপহাসের কারণ জানতে চাওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তারই প্রতিবেশী একজন আইনজীবীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনার প্রায় ১২ বছর আগে একই ব্যক্তির বাম পা ও বাম হাত ভেঙে দিয়েছিল ওই আইনজীবীর পরিবারের সদস্যরা। গতকাল রোববার আখাউড়া উপজেলাধীন ধরখার ইউনিয়নের রুটি গ্রামে ওই বৃদ্ধ, তার ভাই এবং স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
পরে আজ সোমবার ঈদের দিন সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত বৃদ্ধ আবুল হোসেন (৬০) রুটি গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা। তিনি পাঁচ মেয়ে ও চার ছেলে সন্তানের জনক। অভিযুক্ত আইনজীবী রুবেল মিয়া একই গ্রামের বাসিন্দা ও নিহতের প্রতিবেশী সামাদ মিয়ার ছেলে।
নিহত আবুল হোসেনের বড় মেয়ে পাখী আক্তার জানান, গত ২০১২ সালে জমির আইল কেটে নেওয়াকে কেন্দ্র করে সামাদ মিয়ার সঙ্গে তার বাবা-চাচাদের সংঘর্ষ হয়েছিল। সেসময় সামাদ মিয়া ও তার ছেলেরা আবুল হোসেনের বাম হাত ও বাম পা ভেঙে দিয়েছিল।
পরে এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল৷ মামলার দায়েরের ক্ষোভে সামাদ ও তার ছেলেরা আবুল হোসেনের পরিবারের প্রতিও ক্ষুব্ধ ছিল। এর জেরে প্রতিবেশী এই পরিবারটি একে অপরের সঙ্গে বনিবনা ছিল না।
নিহতের স্ত্রী হারুণা বেগম জানান, গত রোববার ঈদের আগের দিন কুরবানির পশু নিয়ে সামাদ মিয়া ও তার ছেলেরা আবুল হোসেনের ছোট ভাই আবু সাঈদকে উপহাস করলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় আবু সাঈদের চোখ উপড়ে ফেলার হুমকি দেয় সামাদ মিয়ার ছেলে আইনজীবী রুবেল মিয়া।
এরপর আবুল হোসেন হুমকির বিষয়টি রুবেলকে জিজ্ঞেস করতেই রামদা দিয়ে তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। বাড়ির কাছেই এ ঘটনা দেখতে পেয়ে আবুল হোসেনকে বাঁচাতে তার ভাই, স্ত্রী, দুই ছেলে ও মেয়েরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করা হয়।
পরে অন্য প্রতিবেশীরা তাদেরকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার সকালে আবুল হোসেন মারা যান। এর আগে, তার মেয়ে মুক্তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এদিকে, খবর পেয়ে ধরখার ফাঁড়ি ও আখাউড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে।
ঘটনাস্থলে আসা ধরখার পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবুল কালাম জানান, ঘটনার পরপর সামাদ মিয়া ও তার ছেলেরা কুরবানির পশুসহ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম বলেন, 'আবুল হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অভিযুক্ত যুবক রুবেলসহ অন্যদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরেরও প্রস্তুতি চলছে।‘
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর