বরগুনা আমতলী পৌরসভার লেকে ভাসমান রেস্তোরাঁ আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় যে, গল্প কুটির ভাসমান রেস্তোরাঁটি একসময় পর্যটকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও বর্তমানে এর আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ। এজন্য স্কুলের অভিভাবকের প্রতিবাদের মুখে একবার প্রশাসন বন্ধ করে দেয় রেস্তোরাঁটি। পরবর্তীতে রেস্তোরাঁর গোপন কক্ষ খুলে দেওয়ার শর্তে মুচলেকা দিয়ে রেস্তোরাঁটি আবার চালু হয়। কয়েকদিন ভালো চললেও আবার সেই পুরোনো কর্মকাণ্ডে ফিরে যায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ রেস্তোরাঁটির গোপন কক্ষে বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কার্যক্রম চলে কখনো মাদকের আড্ডা। গোপন কক্ষ খুলে দেওয়ার শর্তে রেস্তোরাঁটি চালু করার কথা থাকলেও একদম বন্ধ করেই ভিতরে চলে অনৈতিক কাজ । তাই এলাকাবাসী মনে করেন মাদকের আড্ডায় এবং অনৈতিক কাজ বন্ধ করা দরকার।
আজ দুপুর ১২টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে ঈদের সময়ও রেস্তোরাঁটি তালাবন্ধ দেখা যায়।
একাধিকবার রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিং হয়ে বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয় জানতে চাইলে আমতলী একে স্কুলের চায়ের দোকানদার জলিল বলেন, রেস্তোরাঁর মালিক কে তা জানি না তবে মাঝে মাঝে রাতে রেস্তোরাঁটি খোলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, গভীর রাতে ভাসমান রেস্টুরেন্টের ভিতরে চলে বিভিন্ন অনৈতিক কাজসহ মাদকের আড্ডা। মাদকের কারণে যুব সমাজ ও স্কুল পড়ুয়া ছাত্র ধ্বংসের পথে।
তাই যুব সমাজকে মাদকের হাত থেকে বাঁচাতে এবং ছাত্র-ছাত্রীর লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে রেস্তোরাঁটি বন্ধ করা খুবই জরুরি বলে মনে করেন সুশীলসমাজ ও এলাকাবাসী।
আমতলী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মতিয়ার রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমিও অনেক মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি, দ্রুত এই রেস্তোরাঁ পুরোপুরি বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোন অভিযোগ নেই।অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর