চুয়াডাঙ্গায় কোরবানি পশুর চামড়ার ভালো দাম পাই না স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ীরা। গতকাল সোমবার ঈদের দিন বিকাল থেকে ছাগল ও গরুর চামড়া সংগ্রহ শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা। এবার ছাগলের চামড়ার দাম নিচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। আর গরুর চামড়ার দাম নেয়া হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা। এই চামড়া দামে খুশি চামড়া ক্রেতারা। আর অখুশি হচ্ছে চামড়া ব্যবসায়ীরা।
চুয়াডাঙ্গা কোরবানির পশুর চামড়া ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরের যায় প্রতিবার। তাই এবারো তার ব্যতিক্রম না। তবে চামড়া ব্যবসায়ীরা ভালো দাম পায় না চামড়া ব্যবসায়ী আড়তদার মালিকদের কাছ থেকে। ফলে প্রতিবার চামড়া ব্যবসায়িদের লোকসান গুনতে হয়। এমন অবস্থায় এই জেলার চামড়া ব্যবসায়ীরা ভালো দাম না পাওয়ার এবারো আশঙ্কায় আছে। চুয়াডাঙ্গার রেলবাজার ও কেদারগঞ্জ বাজার ঘুরে কোরবানির পশুর চামড়ার এই দামের সংকট বিষয়ে জানা যায়।
চুয়াডাঙ্গার কেদারগঞ্জের চামড়া ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন জানান, গত কয়েক মৌসুম ধরে চামড়ার ভালো দাম পাচ্ছি না। স্থানীয় পর্যায়ে থেকে চামড়া কিনে বাইরের বিভিন্ন জেলায় চামড়া বিক্রি করে ভালো দাম দেয় না আড়তদার মালিকরা। কোনো কোনো আড়তদার মালিকরা চামড়ার টাকা বাকি রাখে।
এমনি বাইরের থেকে ঋণ নিয়ে চামড়া কিনতে হয়। তারপর আবার ভালো দাম না পেলে চামড়া ব্যবসায়িতে অনেক লোকসান হয়ে যায়। ফলে কোনোবার লাভ থাকে না। চামড়া সংগ্রহ ও মুজুুরি খরচ দিয়ে চামড়ার দাম পেয়ে সমান। ফলে শেষ মুহূর্তে কিছুই থাকে না। চামড়ার দাম দেয় না আড়তদাররা। তাই হতাশা অবস্থায় থাকতে হয় প্রতিবার।
জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ থেকে জানা গেছে. এবার এই জেলায় কোরবানিা পশু জবাই করা হয়েছে গরু ৫৪ হাজার ৯৭৯ টি। আর ছাগল ও ভেড়া মিলে জবাই করা হয়েছে এক লাখ ৫৬ হাজার ৮২১ টি। মোট এবার ছাগল ও গরু মিলে ২ লাখ ১১ হাজার ৮০৭ টি কোরবানি পশু জবাই করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা মার্কেটিং অফিসার সহিদুল ইসলাম বলেন, এবারো চামড়ার দাম ভালো এই জেলায়। কিন্তু চামড়া ও ভালো দাম পাই না কয়েক মৌসুম থেকে এই জেলার চামড়া ব্যবসায়ীরা। আড়তদার ভালো দাম দেয় না চামড়ার। তবে ভালো দাম যাতে পায় স্থানীয় মৌসুমের চামড়ার ব্যবসায়ীরা সেজন্য বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান আছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর