কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ইদ আনন্দে ঈদুল আযহার দ্বিতীয় দিনে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে দুধকুমার নদের তীর। দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে সোনাহাট রেল সেতুর দুই পাড়। সোনাহাট স্থলবন্দর ও জিরো পয়েন্টেও বিনোদন প্রেমীদের উপস্থিত ছিল চোখে পড়ার মতো। গোটা উপজেলার কোথাও বিনোদনের জন্য কোন পার্ক না থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে ও ইদ উদ্যাপন করতে এখানে এসেছেন শত শত লোক।
টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে দুধকুমার নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ার দৃশ্য দেখে আনন্দঘন সময় কাটিয়েছেন বিনোদন প্রেমীরা। শতবর্ষী সোনাহাট রেল সেতুর পাশেই নির্মিত হচ্ছে নতুন একটি গার্ডার সেতু। সেখানকার নির্মিতব্য নানা সরঞ্জামাদি দেখতেও ভিড় জমিয়েছেন দর্শনার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঈদের দ্বিতীয় দিনও শত শত মানুষ পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সময় কাটাচ্ছেন। উপজেলার বাইরেও দূরদূরান্ত থেকে নিজস্ব মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার,ভাড়া করা পিক-আপ ও অটোরিকশায় ঘুরতে এসেছেন তারা। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের উপস্থিতিতে সেখানে সৃষ্টি হয়েছে এক মিলন মেলা। অনেকেই নিজস্ব ক্যামেরা কিংবা মুঠোফোনে বিভিন্ন রঙে-ঢঙে সেলফি ও ছবি তুলছেন। এছাড়াও অনেক যুবক যুবতিকে টিক টক ও লাইকি ভিডিও বানিয়ে আনন্দ উপভোগ করতেও দেখা গেছে।
ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য ভাসমান বিভিন্ন খাদ্যের দোকান দেখতে পাওয়া গেছে। এতে বিভিন্ন বেকারি খাদ্য সামগ্রী, বাদাম, চটপটি, ফুসকা ও কোমল পানিও সহ নানা পণ্যের বিক্রি ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেকেই নদীর চরে হেঁটে সময় কাটাচ্ছেন। ইঞ্জিনচালিত নৌকায় কিংবা ডিঙি নৌকায় চড়ে বেড়াচ্ছেন কেউ কেউ। নদীর তীরে মনোরম পরিবেশে সময় কাটাতে ব্যস্ত দর্শনার্থীরা।
পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে এসেছেন রায়হান-মিতালী দম্পতি। তারা বলেন, ঈদের দিনে ব্যস্ত ছিলাম। তাই আজ ঈদের দ্বিতীয় দিনে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি দুধকুমার নদের তীরে। এখানকার নির্মল হাওয়া আর নিরিবিলি পরিবেশ খুবই ভালো লাগছে।
আবরার, হানিফ, আবরার, বর্ণ ও সোহাগ জানান তারা আরো কয়েকজন বন্ধু মিলে ঘুরতে এসেছে সোনাহাট রেল সেতুর পাড়ে। তারা জানায় জায়গাটা খুবই ভালো। নদীর পাড়ের বিকেলটা খুবই ভাল লাগছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এখানে প্রতি ঈদের সময় দূরদূরান্ত থেকে শতশত মানুষ আসে। এটা আমাদের জন্য খুব ভালো লাগার একটি বিষয়। সরকারি বা বেসরকারি ভাবে দুধকুমার নদের পাড়ে একটি স্থায়ী পার্ক তৈরির দাবি জানান তারা।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর