ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানা এলাকার চর নিলক্ষীয়া উজানপাড়া রতন চেয়ারম্যানের শুকনা পুকুরের পশ্চিম পাশে ডোবার মাঝে অর্ধেক শরীর মাটি চাপা অবস্থায় পরে ছিল রাজিয়া খাতুন (৩০) এর লাশ।
রাজিয়া খাতুনের বাড়ী চরনিলক্ষীয়া পিতা- মৃত তাহের মিস্ত্রি, মাতা- আম্বিয়া, কোতোয়ালী, ময়মনসিংহ।
মৃত রাজিয়া খাতুন (৩০) (মানসিক রোগী), মাতা বাদী হইয়া অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা আমলে নেয়।
মামলাটি তদন্ত কালে জানা যায় যে, আসামী মোঃ আল আমিন (২৫), মজিবুর রহমান ওরফে মজি, কোনাপাড়া কইট্রার মোড় সুরুজের বাড়ী, রুহুল আমিন (২৬), আব্দুল্লাহ ওরফে জাকিরুল (১৯),চরনিলক্ষীয়া সাথিয়াপাড়া বড়বাড়ী,মৃত রাজিয়া খাতুন (৩০) কে চর নিলক্ষীয়া উজানপাড়া মাজার হইতে ডেকে নিয়ে মাজারে পাশে থাকা রতন চেয়ারম্যানের শুকনা পুকুরের কাচারে নিয়া যায়।
আসামী রুহুল আমিন এবং আব্দুল্লাহ ওরফে জাকিরুল প্রথমে রাজিয়া খাতুনকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে বৃষ্টি আসায় তাহারা দুইজন মেয়েটিকে আসামী মোঃ আল আমিন এর সাথে মাজারে রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে বৃষ্টি থামলে আসামী মোঃ আল আমিন ফের রাজিয়া খাতুনকে রতন চেয়ারম্যানের শুকনা পুকুরের কাচারে নিয়া যায় এবং রাজিয়া খাতুনকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। কিন্তু রাজিয়া খাতুনকে আসামী মোঃ আল আমিন টানা হেচড়া করিয়া অনেক চেষ্টা করিয়াও ধর্ষন করতে না পাড়ায় আসামী মোঃ আল আমিন ক্ষিপ্ত হইয়া ভিকটিম রাজিয়া খাতুনকে পুকুরে জমা থাকা পানিতে মাথা চাপিয়া ধরিয়া শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য পুকুরের মাঝে থাকা ডোবার ভিতর কাঁদা-মাটি দিয়া চাপা দিয়ে চলে যায়।
পরে,পুলিশ সুপার এর নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সার্কেল দিকনির্দেশনা কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মাইন উদ্দিন এর বিভিন্ন কৌশল অবলম্ভন করে, তদন্ত ওসি আনোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে এসআই দেবাশীষ সাহা, এসআই আল মামুন, এসআই আনোয়ার হোসেন, এসআই মনিতোষ মজুমদার, এএসআই ফরহাদ হোসেন, এএসআই মাসুম রানা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যার সাথে জড়িত আসামী মোঃ আল আমিন (২৫), রুহুল আমিন (২৬), আব্দুল্লাহ ওরফে জাকিরুল (১৯), তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রেফতার করেন।
আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে পাঠালে নিজেদের দোষ স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি প্রদান করেন।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর