প্রবল বর্ষণের কারণে কক্সবাজারের উখিয়ায় পৃথক চারটি পাহাড় ধসে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীসহ আটজন রোহিঙ্গা ও একজন স্থানীয়। বুধবার (১৯ জুন) ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উখিয়ার বালুখালীর ৮ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের মো. আনোয়ারের ছেলে মো. হারেজ (৫), ৯ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে বসবাসরত চট্টগ্রামের সাতকানিয়া কেরানীহাটের আলী জহুরের ছেলে মো. হোসেন আহম্মেদ (৫০), একই শিবিরের রোহিঙ্গা আলী জোহারের মেয়ে আনোয়ারা বেগম (১৮), জামালের ছেলে মো. সালমান (৩), ১০ নম্বর বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরের আবুল কালাম (৫৭), মতির রহমানের মেয়ে সলিমা খাতুন (৪২), আবুল কালামের ছেলে আবু মেহের (২৪), শরিফ হোসেনের মেয়ে জানু বিবি (১৯) ও থাইংখালীর ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের শাহা আলমের ছেলে আব্দুল করিম (১২)। আবদুল করিম থাইনখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র বলে জানিয়েছে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী।
রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতভর বৃষ্টি হয়েছে। ভোররাতের দিকে ক্যাম্পগুলোর পাহাড়ি পাদদেশের মাটি ধসে পড়তে থাকে। এতে তিনটি ক্যাম্পে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে সকালের মধ্যে ৮, ৯, ১০ ও ১৪ নম্বর ক্যাম্পে পাহাড় ধসের এসব ঘটনা ঘটে। উদ্ধার কাজ চলছে। এ পর্যন্ত নয় জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে ৮ নম্বর ক্যাম্পে দুজন, ৯ নম্বর ক্যাম্পে দুজন, ১০ নম্বর ক্যাম্পে চারজন এবং ১৪ নম্বর ক্যাম্পে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এপিবিএন-৮ এর অধিনায়ক আমির জাফর বলেন, নিহতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নাগরিক; বাকি আটজন রোহিঙ্গা।
এদিকে কক্সবাজারে মঙ্গলবার রাত থেকে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কখনও ভারী, কখনও মাঝারি বৃষ্টির মধ্যে এই পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটল। আশ্রয়কেন্দ্রের অনেক বসতি রয়েছে পাহাড় ঘেঁষে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। পাহাড় ধসে জানমাল এড়াতে লোকজনকে নিরাপদে সরে যেতে এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন বলেন, ‘আমি ক্যাম্পগুলো পরিদর্শনে যাচ্ছি। বেলা ১২টা পর্যন্ত মোট ৯ জনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি। এর মধ্যে পাহাড়ধসে উখিয়ার বালুখালী ৯ নম্বর ক্যাম্পে স্বামী-স্ত্রীসহ ৮ জন মারা গেছেন।
শাকিল/সাএ