পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে স্থানীয় এক নারীর বিরুদ্ধে অসামাজিক ও অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে এবং এলাকাবাসীর নামে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে উপজেলার সুন্দরদিঘী ইউনিয়নের মোটা সন্ন্যাসী পাড়া বাজারে ৮টি গ্রামের মানুষের আয়োজনে ফুলবাড়ী-কালীগঞ্জ সড়কের দুই পাশে দাড়িয়ে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। মানববন্ধনে ইউনিয়নের ভূজারী পাড়া, দেবত্তর পাড়া, বন্দর পাড়া, বানিয়া পাড়া, তাতীপাড়া সহ ৮টি গ্রামের ৬ শতাধিক নারী, পুরুষ, স্থানীয় ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে স্থানীয় গৌরিকান্ত রায়, তাপস চন্দ্র রায়, খোকন মহন্ত, রিতা রানী, শিউলী আক্তার, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মাববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, দেবীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরদিঘী ইউনিয়নের মোটা সন্ন্যাসী পাড়া এলাকার নারী শৈব্যা রাণী দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় অসামাজিক ও অনৈতিক কার্যকলাপে যুক্ত। তার এসব অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন গ্রামবাসী সহ স্থানীয়রা। তবে বেশকিছুদিন ধরে শৈব্যার অসামাজিক ও অনৈতিক কার্যকলাপে বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও কথা বলায় শৈবার বড়আব্বা গৌরিকান্ত রায় সহ অন্তত ২০ জনের বেশি স্থানীয়দের নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। অবিলম্বে শৈব্যা রাণীকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানান বক্তারা।
এসময় শৈব্যা রানীর বড় আব্বা গৌরিকান্ত রায় (৬০) বলেন, শৈব্যা এতটাই নিচে নেমে গেছে যে আমি তার বড় বাবা আমার বিরুদ্ধে সে আদালতে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে। এমন স্থানীয় অনেকে তার মিথ্যা মামলায় হয়রাণীর শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়তই। এসবের কি কোন প্রতিকার পাব না আমরা। শুনেছি তার পেছনে নাকি অনেক বড় লোকদের ইন্ধন রয়েছে। তাদের আশকারায় সে অপকর্ম ও অনৈতিক কাজ করে বেড়াচ্ছে। আমি তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করছি
খোকন মহন্ত (৩৮) নামে স্থানীয় এক ব্যাক্তি বলেন, আমি শৈব্যা রাণীর অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে সে। এখন আমি আদাতের বারান্দায় প্রতিনিয়তই ঘুরছি।
শিউলী আক্তার (৪৬) নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, শৈব্যার অনৈতিক ও অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলায় আমি ও আমার স্বামী সহ অনেকে তার মিথ্যা মামলার আসামী। আমরা তাকে আর এলাকায় দেখতে চাইনা।
পরে মানববন্ধন শেষে মোটা সন্ন্যাসী পাড়া বাজারে স্থানীয় নারী শৈব্যা রাণীর বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন স্থানীয়রা।
তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে শৈব্যা রাণীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর