নেত্রকোনার শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়কের উপজেলার মহিষবের নামক স্থানে দ্রুতগামী একটি বাসের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার ৬ জন যাত্রী আহত ও একজন নিহত হয়। দুর্ঘটনার পর বাসটিতে হঠাৎ আগুন লেগে সম্পন্ন ভস্মিভূ’ত হয়।
এদের মধ্যে শাকিল (১৭) নামে একজন অটোরিক্সার যাত্রী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
নিহত শাকিল পূর্বধলা উপজেলার শালদিঘা গ্রামের মো. হেলাল উদ্দিনের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পূর্বধলা থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম।
বুধবার (১৯ জুন) ৭ টার সময় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। তাৎক্ষণিক আহতদের কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পূর্বধলা গামী একটি বাস (ময়মনসিংহ-ব-১১০১৬৮) উপজেলার গোহালাকান্দা ইউনিয়নের মহিষবের নামক স্থানে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি অটোরিক্সার সাথে মূখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় অটোরিক্সাটি দুমরে মুচরে যায় এবং অটোরিক্সার ৬ জন যাত্রী আহত হয়।
দূর্ঘটনার পর পর স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে স্থানীয় লোকজন জানায়।
পূর্বধলা ফায়ার সার্ভিসয়ের সহকারী স্টেশন অফিসার এমদাদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসটির যথারীতি আগুন নিভানোর কাজ করি। তবে এ সময় বাসের কাছে কোনো লোকজন ছিল না। আমাদের ধারণা কেউ আগুন লাগিয়ে দিতে পারে। দুর্ঘটনার পর বাসে যে আগুন লাগে সেই রকম কোনো আলামত আমরা পাইনি।
খবর পেয়ে পূর্বধলা থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি জানান, সকাল ৭টার পর প্রথম ফোনে জানতে পারি মহিষবের নামক স্থানে বাস ও অটোরিক্সার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এরপর বাসে আগুন লাগার খবর পাই এবং ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই ।
এ সময় তুমুল বৃষ্টি হচ্ছিল। সকালে তেমন লোকজনও ছিল না। যে কয়জন লোকজন ছিল তারা আহতদের হাসপাতালে পাঠানো নিয়ে ব্যাস্ত ছিল। বাসে তেমন কোন যাত্রীও ছিল না। ধারানা করা হচ্ছে, দুর্ঘটনার পর বাসটির যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে আগুন লাগতে পারে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর