শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি বলেছেন, চিন্তা-বিবেক ও বাক স্বাধীনতাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সংবিধানে সমুন্নত করেছিলেন। জনগণের মধ্যে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সকল কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করার প্রয়াসে এগিয়ে চলেছে দেশ।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) কক্সবাজারে 'তথ্য অধিকার আইন ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ' বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে প্রশিক্ষণে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমিক-মালিক উভয়ের স্বার্থ রক্ষা হয় এই বিষয়টি মাথায় রেখে কম সময়ের মধ্যেই শ্রম আইন ও বিধিমালা হালনাগাদ করার কাজ চলছে। শ্রমিক-মালিক মিলেই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতে শ্রমিক-মালিক ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার বিকল্প নেই।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী আরো বলেন, কক্সবাজারের চারপাশে চলমান মেগা প্রকল্পের দিকে তাকালেই বুঝা যায় দেশ ধীরে ধীরে স্মার্ট হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতা রক্ষায় সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত কল্পে তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়ন জরুরি। কর্মহীনতা দূর করে সকল শ্রেণী-পেশার সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নে সোনার বাংলা বিনির্মাণ সম্ভব।
সৈকতের তারকা হোটেল দ্য কক্স-টু-ডে'র অরবিট হল রুমে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণে তথ্য অধিকার নিয়ে সূচনা বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব বিমলেন্দু ভৌমিক।
বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও দ্য কক্স-টু-ডে'র ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) আবদুল কাইয়ূম চৌধুরী।
তথ্য অধিকার আইন ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ বিষয়ক নানা বিষয় উপস্থাপনা করেন মন্ত্রণালয়ের সিস্টেম এনালিস্ট সুকান্ত বসাক, সহকারী মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার এ.এস.এম. মেহরাব হোসেন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের তথ্য ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফোরকান আহসান, কক্সবাজার কার্যালয়ের উপ-মহাপরিদর্শক শাহ মোফাখ্খারুল ইসলামসহ কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক ও মালিক প্রতিনিধিগণ বক্তব্য প্রদান করেন।
তথ্য অধিকার আইন ও বিধিমালা, তথ্য প্রাপ্তির আবেদন ও আপিল আবেদন পদ্ধতি এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও আবেদনকারীর করণীয় ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কর্মধারা এবং এস সুফল বিষয়ে প্রশিক্ষণে বিষদ আলোচনা করা হয়। মূলত, তথ্য অধিকার বিষয়ক বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন বলে উল্লেখ করেন সংশ্লিষ্টরা।
অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ, সাংবাদিক এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর