অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হার দিয়ে সুপার এইট পর্ব শুরু করেছে বাংলাদেশ। এন্টিগায় আজ (শুক্রবার) অজিদের বিপক্ষে বৃষ্টি আইনে ২৮ রানে হেরেছে টাইগাররা। হারের পর আবারও কাঠগড়ায় বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে খোদ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছেন, ব্যাটিংয়ে ভালো করতে না পারার সেই পুরোনো আক্ষেপ। যা অজিদের সঙ্গে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশনে বোলারদের কল্যানে কিছুটা হলেও ঢাকা পড়েছিল টাইগারদের ব্যাটিং ব্যর্থতা। রানপ্রসবা ক্যারিবীয় কন্ডিশনে ফিরতেই যেন ‘আসল চেহারা’ বেরিয়ে আসল। ঘুরেফিরে আবারও ব্যর্থ বাংলাদেশের টপ অর্ডার। অল্প পুঁজি নিয়ে ম্যাচ বাঁচাতে পারলেন না বোলাররাও।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারের পর ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর টাইম আউট অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দেশসেরা এই ওপেনারের কাঠগড়ায় টপঅর্ডারের ব্যর্থতা। তিনি বলেন, ‘টপ অর্ডার পুরো টুর্নামেন্টজুড়েই ধুঁকছে। খেয়াল করলে দেখবেন ৭ থেকে ১৫ ওভারের সময় বেশি ধুঁকছে আমাদের ব্যাটিং। সেই প্রথম ম্যাচ থেকে শুরু করে আজকের অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত, আমরা সাদামাটা শুরু করেছি। খুব ভালো শুরুর কথা বলব না। এরপর ৭ থেকে ১৫ ওভারে হারিয়ে ফেলেছি প্লটটা।’
সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে বাংলাদেশ। তবে পরের দুই ম্যাচে ভারত আর আফগানিস্তানকে হারাতে পারলে এখনও সুযোগ আছে সেমিফাইনালে খেলার। সে জন্য কিছু দাওয়াই বাতলে দিলেন তামিম, ‘আমরা যদি এই বিশ্বকাপে ভালো করে আরও এগিয়ে যেতে চাই তাহলে আমি মনে করি বাংলাদেশ পরের ম্যাচে কীভাবে অ্যাপ্রোচ করবে সেটা নিয়ে ভাবা উচিত এখন থেকে।’
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে রান স্বল্পতার কথা বলেছেন শান্ত। তামিম ইকবালও একই কথা বললেন, ‘এই ম্যাচ জিততে হলে বাংলাদেশের করতে হতো ১৮০ রান, এজন্য যে ধরনের ব্যাটিংয়ের দরকার সেটা করেছে শুধু তাওহিদ হৃদয়। আপনি যদি নিরাপদ ক্রিকেট খেলেন তাহলে বেশিদূর যেতে পারবেন না। অস্ট্রেলিয়া, ভারতের মত দলকে হারাতে ঝুঁকি নিতে হবে আপনাকে। যেটা নিয়েছিল হৃদয়।’
একই অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকা ক্রিকেটার টম মুডিও বললেন, ‘বাংলাদেশ যে ব্র্যান্ডের ক্রিকেটটা খেলছে সেটা টিকে থাকার জন্য, জেতার জন্য নয়।’
এদিকে, শুরুতে ধীরস্থির ব্যাটিংয়ের ব্যাখ্যা ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে দিয়েছেন শান্ত, ‘শুরুর দিকে একটু দেখে খেলারই পরিকল্পনা ছিল। আগের ম্যাচগুলোতেও ওরকম ভালো শুরু পাচ্ছিলাম না। ৬ ওভার কীভাবে উইকেট হাতে রেখে শেষ করতে পারি এই পরিকল্পনা ছিল। আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী শেষ করতে পেরেছি। আরেকটু ভালো হতে পারত, তবে আমরা খুশি ছিলাম। আমি যখন আউট হয়েছি, আউট না হয়ে যদি ১৭-১৮ ওভার পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারতাম তাহলে হয়তো ১৬০-১৭০ এর কাছাকাছি যেতে পারত।’
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর