সুনামগঞ্জে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সীমান্ত দিয়ে বিনা শুল্কে এনে সীমান্ত এলাকায় বসতবাড়ি মজুদ করে রাখা অবস্থায় ২৫১ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ট্রাস্কফোর্স। শুক্রবার (২১ জুন) বিকেলে উপজেলা সলুকাবাদ ইউনিয়নের উত্তর কাপনা গ্রাম থেকে এসব চিনি জব্দ করা হয়েছে।
বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা এলাকা হওয়ায় কারে দীর্ঘদিন সীমান্তের চিহ্নিত চোরাচালানিরা ধনপুর ইউনিয়নের মাছিমপুর থেকে শুরু করে সলুকাবাদা ইউনিয়ন পর্যন্ত এলাকা দিয়ে ভারতের বিভিন্ন চোরাই পথে অবৈধভাবে চিনি,পেঁয়াজ,মদ,গাজা,ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য বাংলাদেশ এনে সীমান্তের বসতবাড়ি মজুদ করে রাখে। পরে সড়ক পথে জেলা ও জেলার বাহির বিভিন্ন প্রান্তে পাঠায় চোরাকারবারিরা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবৈধভাবে চোরাই পথে বিনা শুল্কে আনা সলুকাবাদ ইউনিয়নের উত্তর কাপনা গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে মজুদ করে রাখা ২৫১বস্তা (প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি-১২৫৫০ কেজি) ভারতীয় চোরাচালানের অবৈধ চিনি জব্দ করা হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মফিজুর রহমানের সঙ্গে থানার পুলিশ ও বিজিবি ফোর্সসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে জানান,কিছুদিন পূর্বেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ৫০৮ বস্তা ভারতীয় অবৈধ চিনি জব্দ করা হয়েছিল। এর পূর্বে বিজিবি ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে আসা ৭টি উট আটক করে। কিন্তু এর সঙ্গে জড়িত চোরাচালানিদের আটক করতে পারছে না। এতে করে উঠতি বয়সী যুবকেরা মাদকাসক্ত ও কম সময়ে ও অধিক লাভবান হওয়ার জন্য এই চোরাচালানের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মফিজুর রহমান এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের উত্তর কাপনা গ্রাম থেকে ২৫১ বস্তা( ১২,৫৫০ কেজি)ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়। চিনি জব্দ করে বিজিবি এর নিকট আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এর জন্য হস্তান্তর করা হয়। ট্রাস্কফোর্স পরিচালনা করার সময় সলুকাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরে আলম সিদ্দিকী তপন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে চাইলে আমরা উনাকে সরিয়ে দেই। এ ছাড়াও চোরাচালান প্রতিরোধ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নজরদারির রাখার জন্য বলা হয়েছে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর