
বরগুনার আমতলীতে সেতু ভেঙে নিহত মাদারীপুরের একই পরিবারের ৭ জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (২৩ জুন) সকাল ১০টার দিকে দুই দফায় জানাজা শেষে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। ওই সময় নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী কান্নায় ভেঙে পড়েন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বরগুনার আমতলীতে বোনের মেয়ে হুমায়রা আক্তারের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত বুধবার ঢাকা থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভদ্রাসনে গ্রামের বাড়িতে আসেন ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ। মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। তবে প্রাণ হারান তার স্ত্রী শাহানাজ আক্তার মুন্নী, দুই মেয়ে তাহিদা ও তাসদিয়া। এই দুর্ঘটনা কেড়ে নেয় ব্যাংক কর্মকর্তার বোন, ভাবি, দুই ভাগনেসহ একই পরিবারের ৭ জনকে।
নিহত ৭ জন হলেন- ব্যাংকার আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী মুন্নী বেগম (৪০), দুই মেয়ে তাহিয়া (৭), তাসফিহা (১১), তার বড় ভাই বাবুল মাদবরের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪০), বোন ফরিদা বেগম (৪০), ফরিদা বেগমের ছেলে সোহেল খানের স্ত্রী রাইতি বেগম (৩০), রাইতির মা রুমি বেগম (৪০)।
নিহত ফাতেমা বেগমের স্বামী বাবুল মাদবর আহাজারি করতে করতে বলেন, ‘আমার সব শ্যাষ হয়ে গেল। বিয়ের আনন্দ করতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরছে, এই দুঃখ কোথায় রাখি। আমি কীভাবে এই দৃশ্য ভুলব! আল্লাহ তুমি আমাকেও ওদের সঙ্গে নিয়া যাও। ওদের ছাড়া আমিও আর বাঁচতে চাই না।’
নিহত ফরিদা বেগমের ছেলে মাহাবুব খান বলেন, ‘আমার মা এভাবে আমাকে ছেড়ে চলে যেতে পারে না। আমার মাকে তোমরা ফিরাইয়া দাও। যার মা নাই, তার এ দুনিয়াতে আপন বলে কেউ নাই।’
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান বলেন, বৌভাত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে একসঙ্গে এক পরিবারের ৭ জনের মৃত্যু খুবই দুঃখজনক।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর