দুই দলের সামনেই সহজ সমীকরণ ছিল। জিতলেই সেমিফাইনাল, হারলেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বিদায়। এমন অলিখিত কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কাঁদিয়ে শেষ চারে উঠলো দক্ষিণ আফ্রিকা। এই জয়ে গ্রুপ পর্বের পর সুপার এইটেও সব ম্যাচে অপরাজিত রইল প্রোটিয়ারা।
সোমবার (২৪ জুন) অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানের পুঁজি দাঁড় করায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ১৬ দশমিক ১ ওভারে ৩ উইকেট হাত রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে প্রোটিয়ারা।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় প্রোটিয়ারা। রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন রেজা হেনড্রিকস। অন্যপ্রান্তে দুর্দান্ত কিছুর আভাস দিয়ে ১২ রানে ফেরেন ডি ককও।
দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫ রানে ২ উইকেট হারানোর পর হানা দেয় বেরসিক বৃষ্টি। খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ থাকার পর ১৭ ওভারে নেমে আসে ম্যাচ। প্রোটিয়াদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৩ রান।
বৃষ্টি বাধার পর অনায়াসেই প্রোটিয়াদের এগিয়ে নিচ্ছিলেন মার্করাম-স্টাবস জুটি। তবে ১৮ রানে আলজারি জোসেফের বলে মার্করাম ফিরলে ফের ধাক্কা খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ক্লাসেনকেও ফেরান এই পেসার। ফেরার আগে ১০ বলে ২২ রানের ক্যামিও উপহার দেন মিডল-অর্ডার এই ব্যাটার।
এরপর ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন রোস্টন চেজ। একে একে মিলার, স্টাবস, মহারাজকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে অবিশ্বাস্য এক জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন তিনি।
তবে শেষ রক্ষা হয়নি ক্যারিবিয়ানদের। অষ্টম উইকেটে রাবাদাকে সঙ্গে নিয়ে দুর্দান্ত এক জুটিতে স্বাগতিকদের স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দেন মার্কো ইয়ানসেন। শেষ ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে প্রোটিয়াদের জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন এই অলরাউন্ডার। শেষ পর্যন্ত ১৪ বলে ২১ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন।
এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। দলীয় ২ রানের মাথায় শাই হোপকে হারায় দলটি। ইয়ানসেনের বলে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন এই ওপেনার। এরপর মাত্র ১ রানে ফেরেন নিকোলাস পুরান।
৫ রানে জোড়া উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে তৃতীয় উইকেটে ৮১ রানের অবিচ্ছিন্ন এক জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামলে নেন কাইল মায়ার্স ও রোস্টন চেজ।
এই জুটির সুবাদেই বড় স্কোরের স্বপ্ন বুনেছিল স্বাগতিকরা। তবে সবকিছু এলোমেলো করে দেয় প্রোটিয়াদের স্পিন অ্যাটাক। তাবরিজ শামসি ও কেশভ মহারাজের ঘূর্ণিতে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ক্যারিবীয়দের ব্যাটিং লাইন-আপ।
৩৪ বলে ৩৫ রানে মায়ার্সকে ফেরান শামসি। তার ঘুর্ণি জাদুতেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন ৪২ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৫২ করা চেজও।
শেষ দিকে ঝোড়ো ইনিংসের আভাস দিয়েছিলেন আন্দ্রে রাসেল। তবে নরকিয়ার দুর্দান্ত এক থ্রোয়ে রানআউটের ফাঁদে পড়ে ফেরেন মারকুটে এই ব্যাটার। শেষমেশ ৮ উইকেটে ১৩৫ রানে থামে ক্যারিবিয়ানদের ইনিংস।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর