পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী জেলা আইনজীবী সমিতির ডাকে আজ সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জয়পুরহাটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. নূর ইসলামের আদালত বর্জনের কর্মসূচি পালন করছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যরা।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. শাহনূর রহমান শাহীন বলেন, গত ৩ জুন সমিতির সদস্য এ্যাড : গোলাম মোর্শেদ আল কোরেশি সাক্কু ও তাঁর ক্লার্ক বা মোহরার প্রিতমের বিরুদ্ধে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের ব্রেঞ্চ সহকারী নাঈম হোসাইন বাদি হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এ মামলায় আইনজীবী ও তাঁর মোহরার উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। এঘটনায় সমিতির সদস্য কয়েক জন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেলা ও দায়রা জজ মো. নূর ইসলামের সঙ্গে দেখা করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার নিষ্পত্তির জন্য সমঝোতা মূলক আলোচনা করা হয়। কিন্তু সন্তোষজনক সমাধান হয়নি। এরপর গত ৬ জুন সমিতির জরুরি সভায় সাত কার্যদিবসের মধ্যে আইনজীবী ও তাঁর ক্লার্কের বিরুদ্ধে আনিত ছি. আর ৫১৭/২৪(জয়) মামলাটি প্রত্যাহার ও অভিযুক্ত বেঞ্চ সহকারী নাঈম হোসেনকে আদালত থেকে বদলি বা প্রত্যাহার করার আলটিমেটাম দিয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রোববার পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় ৬ জুনের গৃহীত সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহনূর রহমান শাহীন সোমবার থেকে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নূর ইসলামের আদালত বর্জন চলছে জানিয়ে বলেন, আইনজীবী ও তাঁর ক্লার্কের বিরুদ্ধে অসত্য মামলা প্রত্যাহার দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু মামলাটি প্রত্যাহার করা হয়নি। এ কারণে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নূর ইসলামের আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অপরদিকে, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নূর ইসলামের আদালতে আশা বিচার প্রার্থীরা আদালতে এসে ফিরে যান।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর