বিশ্বের দ্বিতীয় এবং দেশের সর্ববৃহৎ দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জামালপুরের সরিষাবাড়ীর তারাকান্দিতে অবস্থিত যমুনা সার কারখানায় (জেএফসিএল) গ্যাস সংযোগ দিয়ে চালুকরার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। সোমবার (২৪ জুন) সকাল দশটায় কারখানার সর্বস্তরের শ্রমিক-কর্মচারী-কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, এলাকাবাসী এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। গত ১৫ জানুয়ারি বিকেলে সরকার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে কারখানার সার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় ও কারখানা সূত্র জানায়, দীর্ঘ প্রায় ছয়মাস যাবৎ যমুনা সার কারখানা বন্ধ রয়েছে। এতেকরে সরকার বিপুল রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পাশাপাশি কারখানার গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গ্যাস সংযোগ দিয়ে চালু করার দাবিতে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে আয়োজিত ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক, কারখানার সিবিএ’র সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. শাজাহান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, যমুনা সারকারখানা বাণিজ্যিক ভাবে ১৯৯২ সালের ১লা জুলাই দানাদার ইউরিয়া উৎপাদন শুরুর পর থেকে দৈনিক ১৭০০ মেঃ টন দানাদার ইউরিয়া সার এবং ১০৭৮ মে. টন অ্যামোনিয়া উৎপাদনে সক্ষম। এ সারকারখানাটি ৩৭০ পিএসআই চাপে ৪৬ এমএমসিএফডি গ্যাস প্রয়োজন হয়। গ্যাস সরবরাহ ২৫০ পিএসআই থেকে ১৫০ পিএসআইএ নিচে নেমে এলে সার উৎপাদন সম্ভব হয়না। চাহিদার তুলনায় গ্যাসের চাপ কম থাকায় গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর কারখানাটির ইউরিয়া ও অ্যামোনিয়া উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর ১লা নভেম্বর সরকার গ্যাস সংযোগ সচল করার পরদিন ২ নভেম্বর উৎপাদনে ফেরে যমুনা সারকারখানা। গত ৬ ডিসেম্বর দুপুরে আবার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ত্রুটি মেরামত করে ১০ ডিসেম্বর পুনরায় কারখানার উৎপাদন শুরু হয়। বর্তমানে গ্যাস সংকটের অজুহাতে প্রায় ছয় মাস যাবৎ সার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ কারখানা জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ীসহ উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলাসহ দেশের ১৯টি জেলায় কৃষকদের মাঝে স্বল্প সময়ে সারের চাহিদা পূরণ করে আসছে।
এ বিষয়ে যমুনা কারখানার মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজী হননি।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর