নাটোরের সিংড়ায় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে পুত্র রবিউল চংদার (২৬) কে মারধর এবং প্রথম স্ত্রী ও পুত্রের বাসায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে পিতা আনোয়ার হোসেন আনার। এ ঘটনায় দফায় দফায় পারিবারিক সালিশ, বিচারে ও পিতার মন না গলায় অনেকটা অবরুদ্ধ ঐ পরিবার। বিকল্প দরজা দিয়ে যাতায়াত করলেও তালা দিয়ে বের হতে হয়।
এদিকে বাড়ি ছাড়া সহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে পিতা। এতে করে একদিকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন রবিউল, তার স্ত্রী এবং তার মা। এসব নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি আনোয়ার হোসেন আনার এলাকায় পেশাদার দাদন ব্যবসায় জড়িত,দাঙ্গাবাজ,মামলাবাজ,ঋণখেলাপি যার পেশা ও নেশা। তার জুলুম,নিপীড়ন, নির্যাতনের শিকার শুধু তার পরিবার নয়,গ্রাম ও এলাকায় অনেকেই। কিন্তু অর্থ আর ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বেড়ায় এ জন্য ভয় পায় সাধারণ মানুষ।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়নের মুষ্টিগড় গ্রামের আনোয়ার হোসেন আনার প্রায় ৪০ বছর আগে প্রথম স্ত্রীকে বিয়ে করেন। ভালোই চলছিলো সংসার। এর মধ্যে গ্রামের দরিদ্র এক পরিবারে চলাফেরা করতে করতে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং ২য় বিবাহ করে। তবে সে বিবাহ বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ডিভোর্স হয়ে যায়। প্রায় ১২ বছর আগে আবারো ৩য় বিবাহ করে। এ নিয়ে পরিবার মেনে না নেয়ায় দ্বিধা দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।
৩ য় বিয়ের পর থেকে পরিবর্তন দেখা দেয়। প্রথম পক্ষের সন্তান, স্ত্রীর প্রতি অন্যায় আচরন শুরু করে। সম্প্রতি প্রথম পক্ষের সন্তান রবিউলকে স্থাপনদিঘী বাজারে একা পেয়ে অকট্য ভাষায় গালিগালাজ এবং মারপিট করে মটর সাইকেল ছিনিয়ে নেয়।
প্রথম পক্ষের সন্তান রবিউল জানান, ৩ য় স্ত্রীর নীলনকশা বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদের উপর অন্যায়, জুলুম নির্যাতন শুরু করেছে। আমাদের কে বারবার হুমকি ধামকি দিচ্ছে। যে কোনো সময় প্রাণনাশ করতে পারে। আমি, আমার মা ও স্ত্রী এক রকম গৃহবন্দী। মাস খানেক হলো মেঝে তে থাকতে হচ্ছে। সকল আসবাবপত্র জোরজুলুম করে নিয়েছে। বাসার বাইরে গেলে তালা দিয়ে যেতে হয়। তাছাড়া যেকোনো অঘটন ঘটাতে পারে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জানান, রবিউল ও তার পরিবারের ব্যাপারে আমরা কয়েকবার বসেছি। কিন্তু কোনো সমাধান সম্ভব হয়নি। কারন উনার বাবা বিচার, সালিশ মানতে নারাজ। এতে করে গ্রামের পরিস্থিতি খারাপ হয়ে গেছে। তাছাড়া একটা পরিবার এভাবে থাকতে পারে না।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর