ইয়থ এ্যাম্বসেডর গ্রুপ সুনামগঞ্জের উদ্যোগে সংঘাত নয় ঐক্যের বাংলাদেশ গড়ি শ্লোগানকে সামনের রেখে ইয়থ গ্রুপের দিনব্যাপী বিতর্ক প্রতিযোগিতা,আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে দিনব্যাপী শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাঠাগার মিলনায়তনে বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির ফিতা কেটে এ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন এবং অতিথিরা বিভিন্ন উপজেলার ইয়থ গ্রুপের কাজের বিভিন্ন ছবি এবং রিপোর্ট সংবলিত গ্যালারি পরিদর্শন করেন।
শুরুতেই ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতাদের মধ্যে “ছাত্র রাজনীতিই উন্নত গণতন্ত্রের একমাত্র পূর্বশর্ত” বিষয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠিত হয়। পক্ষ দলে ছিলেন মনিরাজ, তারাকুল হক, জানে আলম, তানভীর চৌধুরি বিপক্ষ দলে ছিলেন ইমরানুল হাসান, না ইম আহমদ,মৌসুমি আক্তার, বর্ণা দাস।
মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন অভিজিৎ রায়, বিচারক ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম শাহীন, সুনামগঞ্জ জেলা সুজনের সাধারণষ সম্পাদক প্রভাষক ফজলুল করিম সাঈদ। বিচারকরা দু দলকেই যৌথ ভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন। শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হন বিপক্ষ দলের দল নেতা বর্ণা দাস।
এর পর আয়োজন করা হয় উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার। ছাত্রনেতা: নিজ দলের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করলে প্রতিশ্রুতি এবং সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী: ছাত্র রাজনীতিকে ভবিষ্যতে যেভাবে দেখতে চাই বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। এসময় ছাত্রনেতারা তাদের বক্তব্যে ছাত্ররাজনীতিতে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করার জন্য প্রতিশ্রুতি দেন। এবং ঐক্যের বাংলাদেশ গড়ায় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেন ছাত্রলীগের দিলন আহমদ, ছাত্রদলের মনসুর আহমেদ, তানভীর চৌধুরি ছাত্রলীগের মনিরাজ, ছাত্রদলের রনি, ছাত্রলীগের সৈকত, আল আমিন, সাধারণ ছাত্র বর্ণা দাস।
প্রতিযোগিতায় সাধারণ ছাত্র বর্ণা দাস প্রথম, ছাত্রদলের মুসসনুর আহমেদ দ্বিতীয় এবং ছাত্রলীগের দিলন তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। এ প্রজন্মের ছাত্র নেতাদের ৮০-৯০ দষকের ছাত্র নেতরা সে সময়ের ছাত্র রাজনীতির বিষয়ে গল্প শোনান।
শেষে সর্বদলীয় সম্প্রীতি উদ্যোগ সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির উপদেষ্টা নুরুল হক আফিন্দীর সভাপতিত্বে ও দিরাই প্রেসক্লাবের সভাপতি সামছুল ইসলাম সর্দার খেজুরের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মণির, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ সভাপতি রেজাউল করিম, আবুল কালাম আজাদ, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আব্দুস ছাত্তার, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহীন আলম, শান্তিগঞ্জ পিএফজির পিস অ্যাম্বাসেডর জিয়াউর রহমান জিয়া, বিশ্বম্ভরপুর পিএফজির সমন্বয়কারী ফুল মালা প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, ছাত্ররাই হচ্ছে আগামী বাংলাদেশের কারিগর তাই তাদের শুধু ক্লাসের বই পড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকলে হবে না। ছাত্ররা রাজনীতি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। কারণ এদেশের সকল সংকটে প্রথমেই ছাত্ররা এগিয়ে এসেছে। ৮০-৯০ দশকের অনেক ছাত্র নেতা এখন দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছেন। বক্তারা অভিলম্ভে সকল কলেজ সংসদ চালু করার দাবি জানান। শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ ও সম্মাননা ক্রাস্ট বিতরণ করা হয়। সুনামগঞ্জে ঐক্যের বাংলাদেশের ডাক দিল সর্বদলীয় ছাত্ররা।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর