ফরিদপুরে জীবন্ত রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপ ধরে বনবিভাগে জমা দেওয়ার পর আওয়ামী লীগের পূর্ব ঘোষিত পুরস্কারের অর্থ পেয়েছেন দুই ব্যক্তি। আরও একজনকে পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেলে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ জীবিত রাসেলস ভাইপার ধরা দুজনকে ৫০ হাজার করে ১ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার দিবাগত রাতে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ব্যক্তিগত অফিসে দুজনের হাতে পুরস্কারের অর্থের চেক তুলে দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ।
পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, ফরিদপুর সদরের রেজাউল করিম ও আজাদ শেখ। শাহজাহান নামের আরও একজনকে পরে পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
পুরস্কারের অর্থের চেক পাওয়া আজাদ শেখ বলেন, আমি জেলা আওয়ামী লীগের ঘোষিত পুরস্কারের ৫০ হাজার টাকা পেয়েছি। ধন্যবাদ জেলা আওয়ামী লীগ, তাদের কথা রাখার জন্য।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ বলেন, আমাদের ঘোষণা অনুযায়ী তিন ব্যক্তিকে পুরস্কার বাবদ ৫০ হাজার করে টাকা দেওয়ার কথা। আমরা ঘোষণা অনুযায়ী দুজনকে সোমবার রাতে আমার ব্যক্তিগত অফিসে ৫০ হাজার করে এক লাখ টাকা দিয়েছি। আর একজনকে আমরা পুরস্কার দেব। সেটা দুই-একদিনের মধ্যে দিয়ে দেব। জেলা আওয়ামী লীগ তাদের কথা রেখেছে।
প্রসঙ্গত, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন উপেক্ষা করে প্রথমে রাসেলস ভাইপার মারতে পারলে গত ২০ জুন ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক। এ নিয়ে সমালোচনা হওয়ার একদিন পরে ২১ জুন জেলা আওয়ামী লীগ ওই ঘোষণা থেকে কিছুটা সরে এসে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নিজে সুরক্ষিত থেকে জীবিত রাসেলস ভাইপার ধরে বনবিভাগে জমা দেওয়া হলে তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হব। তবে জেলা আওয়ামী লীগের এ সংশোধিত ঘোষণাও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের পরিপন্থি। এ ঘোষণার পর রাসেলস ভাইপার জীবিত ধরার জন্য তোড়জোর শুরু হয়ে যায় ফরিদপুর সদরসহ বিভিন্ন গ্রামে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর