ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) চলমান মেগা প্রকল্পের ৬ কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা বিল আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলীসহ আট প্রকৌশলীকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তদন্তের স্বার্থে তাদেরকে আগামী ৩০ জুন ও ১ জুলাই দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সাক্ষাৎকার দিতে বলা হয়েছে। দুদকের কুষ্টিয়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
তবে ওই চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দফতরে গ্রীষ্মকালীন ও ঈদুল আযহার ছুটি চলাকালীন এসেছে বলে জানা গেছে। ফলে যথাসময়ে সাক্ষাৎকার দিতে পারেননি প্রকৌশলীরা। তাই গতকাল মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুদকের সঙ্গে আলোচনা করে সাক্ষাতের নতুন সময় নির্ধারণ করেছে রেজিস্ট্রার দফতর।
দুদকের চিঠিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় প্রশাসন ভবন নির্মাণে সর্বশেষ চলতি বিলে ভুয়া বিল দিয়ে ৬ কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা উত্তোলন ও ভাগ-বাটোয়ারা করে আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে। তাই অনুসন্ধানের স্বার্থে আট প্রকৌশলীর বক্তব্য গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করছে দুদক।
আট প্রকৌশলী হলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম শরীফ উদ্দীন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন ও আলিমুজ্জামান টুটুল, নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) বাদশা মামুনুর রসিদ ও মোহা. নুর আলম, উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) প্রসেনজিৎ কুমার বিশ্বাস, রাজিব হোসাইন ও সোহাগ ইসলাম সাগর। এর মধ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম শরীফ উদ্দীন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন ও আলিমুজ্জামান টুটুলকে ১ জুলাই ও বাকিদের ৩০ জুন ডাকা হয়েছে।
জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বরে অভিযোগ সংক্রান্ত একটি বেনামি চিঠি আসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও দুদকে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযোগ আমলে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি অভিযোগের সত্যতা পায়। তবে প্রতিবেদনে শাস্তি নির্ধারণের পদ্ধতি ও বিধি উল্লেখ না করে শাস্তি নির্ধারণে পরবর্তীতে আবারো ৩ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। একইসঙ্গে তদন্ত শুরু করে দুদক।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, দুদক প্রকৌশলীদের বক্তব্য শুনতে ডেকে চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু ওই সময় ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় চিঠি পড়ে ছিল। পরে দুদকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদেরকে সাক্ষাতের নতুন সময় জানিয়েছি।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর