বগুড়া জেলা কারাগার থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি ছাদ কেটে রশির মাধ্যমে কারাগার থেকে পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল আলমের ভাষ্য, জেলটি ব্রিটিশ আমলের। ছাদে কোনো রড ছিল না। কাপড় দিয়ে ওপরে উঠে তারা ছাদ ফুটো করে পালিয়ে যায়।
জেলার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তীও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে গতরাতে তারা কনডেম সেলের ছাদ কেটে কাপড়ের রশি বানিয়ে ছাদ থেকে নেমে পালিয়ে যায়।
পালিয়ে যাওয়া আসামিরা হলেন, কুড়িগ্রামের নজরুল ইসলাম মঞ্জুর (৬০), নরসিংদীর আমির হামজা (৪১), বগুড়ার কাহালুর মো. জাকারিয়া (৩৪) এবং বগুড়া সদরের ফরিদ শেখ(৩০)।
এদিকে এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল কায়েসকে প্রধান করে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টা ৫৫ মিনিটে খবর পান বগুড়া কারাগার থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি পালিয়েছেন। পরে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত ৩ টার দিকে চার আসামি ছাদ ফুটো করে বের হয় এরপর তারা বিছানার চাদর ব্যবহার করে দেওয়াল টপকিয়ে বাহিরে বের হয়। ভোর রাত ৩ টা ৫৫ মিনিটে সংবাদ পেয়ে পুলিশের একাধিক দল শহরে তল্লাশি শুরু করে। ভোর রাত ৪ টা ১০ মিনিটে শহরের চেলোপাড়া চাষী বাজার থেকে চারজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, পালিয়ে যাওয়ার পরপরই জেলা কারাগার থেকে পাঠানো ছবি দেখে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর চারজনকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়ার পর কারা কর্তৃপক্ষ তাদের সনাক্ত করে।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, ‘কারাগার পরদর্শন করে দেখা গেছে, তারা চারজন একই সাথে একটি কক্ষে অবস্থান করতো। তারা পরিকল্পিত ভাবে ছাদ ফুটো করে পরিধেয় বস্ত্র এবং বিছানার চাদর জোড়া দিয়ে রশি বানিয়ে দেওয়াাল টপকিয়ে পালিয়ে করতোয়া নদীর পার হয়ে পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তার চারজনের বিরুদ্ধে জেল থেকে পালানোর ঘটনায় মামলা দায়ের হবে।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর