বরগুনার আমতলী উপজেলার ইসলামপুর হাসানিয়া দাখিল মাদ্রাসার ক্লাস শুরু হয় ১০ টায় আর ছুটি হয় সাড়ে ১২টায়।
জানা গেছে, মাদ্রাসাটির সুপারেন্ট মাওলানা শাহ আলম মাদ্রাসায় এসে অফিসিয়াল কাজের কথা বলে প্রায়ই মাদ্রাসা থেকে চলে যান।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সহকারী শিক্ষক বলেন, গত বুধবার ২৬ জুন ১০টায় ক্লাস শুরু হয়েছে আর সাড়ে ১২ টায় ছুটি হয়েছে। সহ- সুপার মো. নাসির উদ্দিন বলেন, পৌনে ১ টায় ছুটি হয়েছে।তবে স্থানীয়দের বক্তব্য একটু ভিন্ন। তারা বলেন, প্রায়ই মাদ্রাসা ১ টার মধ্যে ছুটি হয়ে যায়।
বুধবার সরেজমিনে দেখা যায় দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় ছাত্র/ ছাত্রীরা বই খাতা ব্যাগ নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান হুজুরেরা মাদ্রাসা ছুটি দিয়েছে তাই আমরা বাড়ি যাচ্ছি। তারা আরো জানান, প্রায়ই ১ টার সময় আমাদের ছুটি দেয় বাড়ি গিয়ে পড়া শুনা করি। এসময় শিক্ষকরাও বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। সাংবাদিকদের দেখে সহ সুপার মো. নাসির উদ্দিন, সহকারী শিক্ষক মো. শাহ আলম. মোশারেফ হোসেন, আবুল বাশার,সীমা বেগম ,আব্দুল হকসহ দুইজন কর্মচারী মাদ্রাসায় ঢুকে জাতীয় পতাকা টানায়। অন্য শিক্ষকরা হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে আগেই চলে গিয়েছে। দুপুর সাড়ে ১২ টায় জাতীয় পতাকা টানানো কেনো জানতে চাইলে তারা কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সুপারেন্ট মাওলানা শাহআলম বলেন,কোরবানির বন্ধের পর মাদ্রাসা খোলার দিন তাই ছাত্রছাত্রী উপস্থিত কম হয়েছে এজন্য ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে ৩২ লাখ টাকা খরচ করে মাদ্রাসা ভবন নির্মাণ করে দিয়েছি । সেখানে শিক্ষকরা সাড়ে ১২ টার সময় মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে দিবে এটা আমার বোধগম্য নয়। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ।
আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অলি আহাদ বলেন, সাড়ে ১২ টায় ছুটি দেওয়ার কোনো বিধান নাই । তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আশরাফুল আলম বলেন,বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর