প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হল এ এডুকেশন, রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (ইআরডিএফবি) এর আয়োজনে ‘আওয়ামী লীগের সফল এবং গৌরবময় পথচলার ৭৫ বছর’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার সকাল দশটায় এই সভা শুরু হয়।  

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এর সদস্য ও ইআরডিএফবি'র সম্মানিত সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন, এমপি এবং মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির মাননীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা। 

এছাড়াও উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান এবং রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার।  উক্ত আলোচনা সভায় উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ‘ইআরডিএফবি’ এর সম্মানিত সিনিয়র সভাপতি এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খাঁন।

প্রধান অতিথি ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন, এমপি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগের সফল এবং গৌরবময় এই ৭৫ বছরের ইতিহাসে ৪৩ বছর নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের প্রত্যাশাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দক্ষতার সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছে। তাঁর জাদুকরী নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের তালিকায় নিম্ন আয়ের দেশ থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশে জায়গা করে নিয়েছে আরও আগেই। বর্তমান অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বড় প্রকল্পগুলোর উদ্যোগ নিয়েছে এই সরকার, বাস্তবায়নও প্রতিনিয়ত দৃশ্যমান হতে চলেছে। ভাবা যায়, ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হিসেবে আখ্যায়িত এই দেশে আজ হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে পদ্মা সেতু, ঢাকা মেট্রোরেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং কর্ণফুলী ট্যানেলসহ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির শতশত যুগান্তকারী উদাহরণ।

মূল আলোচক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা তাঁর বক্তব্যে বলেন, একটি দেশের উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ, যা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের ৭৫ বছরের দীর্ঘ এই সফল এবং গৌরবময় পথচলার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক বিশ্ববিনোয়োগের অন্যতম কেন্দ্র। এখানে রয়েছে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল, তৈরি করা হচ্ছে হাইটেক পার্ক। আমাদের রয়েছে পদ্মাসেতৃ, কর্নফুলী টানেল, মেট্রোরেলসহ আরও অনেক কিছু। এক কথায় বলতে গেলে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বর্তমানে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতির টাইগারে পরিণত হয়েছে। নিম্ন আয়ের দেশ থেকে আমরা এসেছি মধ্যম আয়ের দেশে। দেশের উন্নয়ন হচ্ছে সর্বক্ষেত্রে। এর পিছনে একমাত্র কারণ বাংলাদেশের জন্ম, চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত আওয়ামী লীগের সুদক্ষ ও জাদুকরী নেতৃত্ব।

সম্মানিত সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ৩০ লাখ শহিদের প্রাণ, লক্ষ-লক্ষ মা-বোনের অশ্রু, সম্ভ্রম ও রক্তের বিনিময়ে জন্ম নেওয়া এই বাংলাদেশকে আজকের অবস্থানে আসতে অতিক্রম করতে হয়েছে হাজারো প্রতিবন্ধকতা। আওয়ামী লীগের সফল ও গৌরবময় ৭৫ বছরের সুদক্ষ নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত, প্রায় সর্বক্ষেত্রে অবকাঠামোবিহীন সেদিনের সেই সদ্যোজাত জাতির অর্জনের পরিসংখ্যানও অপ্রতুল নয়। বিএনপির শাসনামলে দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ আজ শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞানবিজ্ঞান  ও প্রযুক্তি  সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। লক্ষ্য এখন স্মার্ট নাগরিক সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ। দেশের তরুণ সমাজ জ্ঞানবিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য এবং ইআরডিএফবি এর সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সেমিনারের শুরুতে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন ‘ইআরডিএফবি’ এর সম্মানিত সিনিয়র সভাপতি এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খাঁন।

রার/সা.এ