
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের নোয়াকান্দা এলাকায় ধানের ক্ষেতে মিললো লাশ। শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ১১ টার সময় এই কঙ্কাল উদ্ধার করে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ও সিআইডির একটি টিম।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ককলামৃধা ইউনিয়নের দোলকুন্দী এলাকার নসু কাজীর মালিকানাধীন ধানের ক্ষেতে ২৭ জুন সন্ধ্যার পর ধানের ক্ষেতে এই কঙ্কাল দেখতে পেয়ে পুলিশ কে খবর দেয়। পুলিশ রাতে এসে ঘটনাস্থল ঘিরে রাখে। এরপর আজ সিআইডি এসে কঙ্কাল উদ্ধার করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ফরিদপুর মর্গে প্রেরণ করে।
এই বিষয়ে স্থানীয় একজন জানান, মান্নান নামে একজন পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করার সময় এই কঙ্কাল দেখতে পান। পরবর্তীতে তিনি চায়ের দোকানে বললে ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ ও সিআইডি এসে কঙ্কাল উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মিজানুর হাওলাদার নামে একজন কঙ্কাল টি তার বাবা মোতালেব হাওলাদারে দাবি করেন। কঙ্কালের পাশে লুঙ্গি ও গামছা দেখে, নিখোঁজ বাবার কঙ্কাল দাবি করেন।
তিনি বলেন, গত ২৫ মে সকাল ১০ টার সময় পার্শ্ববর্তী শিবচরের শোলাপুর মামাতো ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনতে পেয়ে সেখান জান। পরে সেখান থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হন। এরপর ৩১ তারিখে ভাঙ্গা থানায় মিজানুর হাওলাদার নিখোঁজ জিডি করেন।
এই বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাঙ্গা সার্কেল তালাত মাহমুদ শাহানশাহ বলেন, গতকাল কালামৃধা ইউনিয়নের নোয়াকান্দা গ্রামের গতকাল ফসলি মাঠের ভিতর কঙ্কাল পাওয়ার খবর পাওয়া যায়। কঙ্কাল টি ছিন্নবিচ্ছিন্না ছিল পরবর্তীতে আজ সকালে সরজমিনে এসে দেখি প্রায় মাসখানেক যাবত পরে ছিল যার ।
তিনি বলেন, আমাদের থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করা হয়। সেই জিডির ভিত্তিতে লাশটি প্রাথমিক ভাবে শনাক্ত করা হয়। ঐ লাশটিল পরিহিত পোশাক দেখে লাশ টি শনাক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শনাক্ত ব্যক্তি ৭২ বছর বয়সি একজন বৃদ্ধা। সে পার্শ্ববর্তী শিবচরের একটি জানা যায় অংশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পথ হারিয়ে এই মাঠে আসেন। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছি তিনি পথ হারিয়ে মাঠের মধ্যে অসুস্থ হয়ে বসে পরেন এবং মৃত্যুবরণ করেন। আমরা ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহ করেছি পরিবারের সাথে ডিএনএ স্যাম্পল মিলাবো। এরপর একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করবো। পরবর্তীতে আর কোনো তথ্য উদ্ঘাটন হলে আমরা তখন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর