• ঢাকা
  • ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • শেষ আপডেট ২৭ মিনিট পূর্বে
নিউজ ডেস্ক
বিডি২৪লাইভ, ঢাকা
প্রকাশিত : ২৮ জুন, ২০২৪, ০৫:০২ বিকাল
bd24live style=

জন্মের ২৪ বছর পর বাবাকে প্রথম দেখলেন মিলন, তবে মৃত অবস্থায়

সংগৃহীত ছবি

ছেলের জন্মের আগে ঘর ছাড়েন সিকান্দার ঘরামী। এরপর থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না তার। ২৪ বছর পর ছেলে খোঁজ পেলেন সিকান্দার ঘরামীর। ততক্ষণে তিনি না ফেরার দেশে চলে গেছেন।

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিকান্দার ঘরামী (৭২) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। জন্মের ২৪ বছর পর না দেখা পিতার মুখ খুঁজে পেল মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার পাংগাশিয়া গ্রামের মো. মিলন (২৪)।

জানা যায়, বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আত্মীয়স্বজনহীন এই মানুষটির লাশ দাফন কাফন নিয়ে ঝামেলায় পড়েন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে দেখতে পান ১৯ জুন অসুস্থজনিত কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানীয় এক সংবাদ কর্মী।

সাংবাদিক আজিজুল হক পার্থ জানান, ২৪ বছর আগে থেকেই সিকান্দার আলী গজারিয়া, চাঁদপুরের মতলব, কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকার বিভিন্ন মাজারে ঘুরে ঘুরে জীবনযাপন করেছেন। একাধিক মানুষ তাকে চেনেন এ অঞ্চলের মানুষ হিসেবে; কিন্তু তার স্বজনদের বিষয়ে কেউ কিছু জানেন না।

গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের মধ্য বাউশিয়ার বউ মস্তানের মাজার, পুরান বাউশিয়ার সোলায়মান লেংটার দরবার, নয়াকান্দির এক পাগলের মাজার ও সর্বশেষ গত কয়েক মাস যাবত বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বড় রায়পাড়ার শামছু পাগলার দরবারে ভবঘুরে জীবনযাপন করছিলেন সিকান্দার ঘরামী।

১০-১২ দিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনহীন মানুষটার চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হাসপাতালে ভর্তি করান আজিজুল হক পার্থ। তিনি জানান, ভর্তি করার সময় বৃদ্ধ নিজেই রেজিস্টার খাতায় নিজের নাম-ঠিকানা বলে যান। ব্যক্তিগতভাবে লোকটার ঠিকানা অনুযায়ী খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করি; কিন্তু সেভাবে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না। তার মৃত্যুর পর গজারিয়া থানার ওসি মো. রাজিব খানের চেষ্টায় তার পরিবারের খোঁজ পাওয়া যায়।

রাত ৯টার দিকে মৃতের একমাত্র ছেলে মো. মিলন ঘরামী আসেন। তিনি জন্মের পর বাবাকে চোখে দেখেন নাই, বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে সেটাই জানা ছিল না তার।

মৃত বাবাকে পেয়ে মিলন ঘরামী বলেন, বুঝ হওয়ার পর থেকে বাবাকে খুঁজে ফিরেছি; কিন্তু শেষপর্যন্ত বাবাকে পেলাম মৃত অবস্থায়। জীবনে বাবার আদর শাসন পেলাম না, জন্মদাতা বাবার মৃত মুখ দেখলাম। বাবাকে নিজ হাতে দাফন করতে পারব এটুকুই সান্ত্বনা।

এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ওসি মো. রাজিব খান বলেন, ঘটনাটি শুনে অনেক খারাপ লেগেছে। পরে মৃতের স্বজনদের ঠিকানা শনাক্ত করে ছেলের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাঁধন/সিইচা/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ info@bd24live.com
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
ইমেইলঃ office.bd24live@gmail.com