• ঢাকা
  • ঢাকা, সোমবার, ০১ জুলাই, ২০২৪
  • শেষ আপডেট ৬ ঘন্টা পূর্বে
আব্দুল ওয়াদুদ
বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২৯ জুন, ২০২৪, ০৯:৫৭ রাত
bd24live style=

শেরপুরে নদী ভাঙন কবলিত তীর ঘেঁষে চলছে বালু উত্তোলন

ছবি: প্রতিনিধি, বিডি২৪লাইভ

বগুড়ার শেরপুরে করতোয়া নদীর সাতটি পয়েন্টে নদী ভাঙন মারাত্মক আকার ধারণ করে। ফলে করতোয়া নদীর তীরবর্তী ফসলি জমি, বসতবাড়ি ধ্বসে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। নদীর তীর সংরক্ষণে জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রক্ষা করার কাজ চলছে। কিন্তু ভাঙ্গনের তীর ঘেঁষে পনেরো ফিটের মধ্যে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে সেই বালু দিয়ে জিও ব্যাগ ভর্তি করা হচ্ছে। এতে নদীর ভাঙন ঠেকাতে নেওয়া প্রকল্পের কাজ নিয়ে অনিয়মের প্রশ্ন উঠেছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি নদীতে পানি বৃদ্ধি হওয়ায় করতোয়া নদীর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের খানপুর মধ্যপাড়া, সুঘাট ইউনিয়নের বিনোদপুর, মির্জাপুর ইউনিয়নের কাশিয়াবালা এলাকার অন্তত সাতটি পয়েন্টে নদী ভাঙন মারাত্মক আকার ধারণ করে। ফলে করতোয়া নদীর তীরবর্তী ফসলি জমি, বসতবাড়ি ধ্বসে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। এছাড়া বিগত কয়েকদিনের ভাঙনে জামিল হোসেন, চান মিয়া, আব্দুস সাত্তার, মনছের আলী, রুমা বেগমসহ দশ বারোজন ব্যক্তির ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পাশাপাশি প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকাও ভাঙনের কবলে পড়ে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বিগত তিন মাস আগে সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে বাঙালি নদী খনন করা হয়। নদীটি দশ থেকে পনেরো ফুট অপরিকল্পিতভাবে গভীর করায় করতোয়ার নদীর এমন ভাঙন শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেন স্থানীয় এলাকাবাসী। এমনকি তাদের দাবি উপেক্ষা করেই বাঙালি নদী খনন করা মাটি দিয়ে করতোয়া নদীর মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে বাঙালি ও করতোয়া নদীর মিলনস্থলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। আর এই কারণেই আষাঢ়ের বৃষ্টি ও উজান নেমে আসা পানির চাপে অসময়ে করতোয়া নদীর তীরবর্তী স্থানে ভাঙন শুরু হয়। এদিকে নদী ভাঙন মারাত্মক আকার ধারণ করায় স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রকৌশলী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়।

শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রকল্প এলাকায়  যেখানে জিও ব্যাগ ফেলা হবে- তার দশ থেকে পনেরো ফিটের মধ্যে অবৈধ  ড্রেজার মেশিন দিয়ে গভীর করে বালু উঠানো হচ্ছে। আবার ওই বালু দিয়েই ভর্তি করা হচ্ছে জিও ব্যাগ। বিগত চারদিন ধরে এভাবেই অবৈধ ওই কর্মযজ্ঞটি চলছেও দেখার কেউ নেই। এসময় কথা হয় বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত ড্রেজারের মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, এই এলাকায় নদী থেকে বালু উত্তোলন ও ব্যবসা করে থাকি। তাই ঠিকাদার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কথা এড়িয়ে যাওয়া একটু সমস্যা। তাই তাদের অনুরোধে করতোয়া নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু তুলে দিচ্ছি। যা দিয়ে জিও ব্যাগ ভর্তি করা হচ্ছে। এসব জিও ব্যাগ নদীর ভাঙন কবলিত তীরবর্তী স্থানে ফেলা হবে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনসহ সবাই জানেন বলেও দাবি করেন তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম, আমিনুল ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, করতোয়া নদীর তীরবর্তী ভাঙন ঠেকাতে যে-সব জিও ব্যাগ তৈরি হচ্ছে-তার জন্য কোনো বালু কেনা হয়নি। সমস্ত বালু করতোয়া নদীর খানপুর মধ্যপাড়া অংশে জিও ব্যাগ বসানোর স্থানের পনেরো ফিটের মধ্যে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উঠানো হচ্ছে। এভাবে ভাঙনকবলিত নদীর তীরবর্তী স্থান থেকে বালু উত্তোলন করায় নদী ভাঙন রূপ নিতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন। এছাড়া প্রকল্প এলাকায় কোনো সিটিজেন চার্ট  নেই। তাই প্রকল্প ব্যয় বিষয়ে বিস্তারিত কেউ জানে না বলেও অভিযোগ করেন তারা।

জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাজওয়া ট্রেড সিস্টেম লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী রবিন সরকার বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সম্মতি নিয়েই নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। এতে কোনো সমস্যা হবে না। বরং নদীর চর কেটে যাবে এবং পানি প্রবাহে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকবে না।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, জরুরি ভিত্তিতে সেখানে জিও ব্যাগ ফেলা প্রয়োজন। প্রাথমিকভাবে পাঁচ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হবে। এজন্য তাজওয়া ট্রেড সিস্টেম লি. নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে কাজও শুরু করেছেন ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু নদীর ভাঙন কবলিত তীরবর্তী স্থানে দশ থেকে পনেরো ফিটের মধ্যে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে জিও ব্যাগ ভর্তির বিষয়টি জানা নেই। তবে নদীর মধ্যে একটি ডুবুচর রয়েছে-সেটি অপসারণের একটা পরিকল্পনা রয়েছে। এরপরও একটু খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুমন জিহাদী বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ওই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করছে। তাই বিস্তারিত তারাই ভালো বলতে পারবেন। এরপরও খোঁজখবর নিয়ে দেখি, যদি কোনো নিয়মের ব্যত্যয় ঘটে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এই নির্বাহী কর্মকর্তা।

মুনতাসির/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ info@bd24live.com
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
ইমেইলঃ office.bd24live@gmail.com