জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৪—২৫ অর্থবছরের জন্য ৩১৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (২৯ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে আয়োজিত ৪১ তম বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে বাজেট উপস্থাপন করেন কোশাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার। তবে বাজেট বইয়ের হিসেব অনুযায়ী মোট ১০৮ দশমিক ২৫ শতাংশ বাজেট উত্থাপিত হয়েছে। এছাড়াও বাজেট বইয়ের তথ্যে নানা অসংগতি ও তথ্য ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বইয়ে উল্লিখিত বরাদ্দ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২৪—২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত মূল বাজেটের ৬৪.৫৫ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয় বেতন—ভাতা খাতে। পণ্য ও সেবা খাতে ২৫.২৪ শতাংশ এবং পেনশন ও অবসর সুবিধা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১০.৮৪ শতাংশ। গবেষণা ও উদ্ভাবনে খাতে ২.৪৫ শতাংশ, স্বাস্থ্যসেবা খাতে ০.১৫ শতাংশ। এছাড়াও অন্যান্য ব্যয় বাবদ ১.৪৪ শতাংশ, যন্ত্রপাতি খাতে ব্যয় বাবদ ১.৭৩ শতাংশ, যানবাহন ক্রয় বাবদ ০.৬৬ শতাংশ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বাবদ ০.৬৩ শতাংশ এবং অন্যান্য মূলধন জাতীয় ব্যয় বাবদ ০.৫৬ শতাংশ। সবগুলো খাত যোগ করলে মোট বাজেটের পরিমাণ দাঁড়ায় ১০৮.২৫ শতাংশ।
তবে প্রকৃত হিসেব অনুযায়ী, বেতন—ভাতা খাতে ৫৯.৬২ শতাংশ, পণ্য ও সেবা খাতে ২৩.৩১ শতাংশ এবং পেনশন ও অবসর সুবিধা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১০.০২ শতাংশ, গবেষণা ও উদ্ভাবনে খাতে ২.২৬ শতাংশ, স্বাস্থ্যসেবা খাতে ০.১৫ শতাংশ। এছাড়াও অন্যান্য ব্যয় বাবদ ১.৩২ শতাংশ, যন্ত্রপাতি খাতে ব্যয় বাবদ ১.৬০ শতাংশ, যানবাহন ক্রয় বাবদ ০.৬০ শতাংশ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বাবদ ০.৫৮ শতাংশ এবং অন্যান্য মূলধন জাতীয় ব্যয় বাবদ ০.৫২ শতাংশ হওয়ার কথা।
এছাড়াও বাজেট বইয়ে আসেনি প্রথম বর্ষের ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট সেবা বাবদ আদায় করা ফি এর হিসাব।
বাজেটে আয়ের খাত হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২৭৯ কোটি ১২ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সূত্র থেকে মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
বাজেট অধিবেশনে কোশাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার বলেন, বর্তমানে রাজস্ব তহবিলে ঘাটতির পরিমাণ ৬৫ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা। চলতি অর্থবছরে আনুমানিক ১২ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি হতে পারে। ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী সুষম বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। এরূপ আর্থিক চাপের মধ্যে বাজেট প্রণয়ন আক্ষরিক অর্থেই অসম্ভব। ঘাটতির পরিমাণ যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে এক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালানো কষ্টকর হয়ে যাবে।
সিনেট অধিবেশনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম, উপ—উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, উপ—উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, কোশাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার, রেজিস্ট্রার (চুক্তিভিত্তিক) আবু হাসান, সিনেটের শিক্ষক প্রতিনিধি ও রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধিরা।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর