গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের নদ নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় ষোলগড় পয়েন্ট সুরমা নদীর পানি ১৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ৩৫ মিলিমিটার হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার।
তিনি আরও জানান,সুরমা নদীতে পানি বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটারের নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কয়েকদিন টানা বৃষ্টিপাত হবে এতে করে নদ নদীর পানি কোনো এলাকায় বিপদ সীমা অতিক্রম করতে পারে। নীচু এলাকায় বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে আবারও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডুবে গেছে শক্তিয়ারখলা-কৈয়ারকান্দা সড়কের ১০০ মিটার সড়ক। এতে করে সুনামগঞ্জ জেলার শহরের সাথে সড়কপথে বিশ্বম্ভরপুর,তাহিরপুর ও মধ্যনগর ও ধর্মপায়া উপজেলার চলাচলকারী বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগ পড়েছেন।
শক্তিয়ারখলা কৈয়ারকান্দা ১০০ মিটার সড়কের পাশে বাসিন্দা কলিম উদ্দিন জানান কয়েক দিন ধরে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টির কারণে ভারত থেকে যাদুকাটা নদী দিয়ে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে ১০০ মিটার সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। সড়কটি নীচু থাকায় বর্ষার সময়ে পানি বাড়লেই পানিতে ডুবে গিয়ে আমাদের দুর্ভোগে ফেলে দেয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,গত ৭ জুন থেকে বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার নলজুর নদের পানি বেড়ে জগন্নাথপুর-বেগমপুর সড়ক ডুবে যায়। গত ১৮ জুন থেকে এ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিলে পাটলি ইউনিয়নের লাউতলা-রসুলগঞ্জ সড়ক,কলকলিয়া ইউনিয়নের কামারখাল-চণ্ডীঢর সড়ক, সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের ভবের বাজার-নয়াবন্দর সড়ক ও আশারকান্দি ইউনিয়নের নয়াবন্দর-দাওরাই সড়কসহ বেশ কয়েকটি গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে যায়। এরপর থেকেই ওই সব সড়ক দিয়ে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে ওই ছয় ইউনিয়নের দেড় শতাধিক গ্রামের কয়েক লাখ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। এ ছাড়া জগন্নাথপুর পৌরসভার হেলিপ্যাড এলাকার বেইলি সেতুটি ডুবে যাওয়ায় ওই সেতু দিয়ে গত ১২ দিন ধরে যান চলাচল বন্দ রয়েছে।
জেলার জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি)সোহরাব হোসেন জানান,বন্যার কারণে এখনও উপজেলার বিভিন্ন সড়কে পানি থাকায় যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করছি। পানি নেমে গেলে দ্রুতই মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর