সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদ ও কোটা প্রথা বাতিলসহ ২০১৮ সালের কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বেশ কয়েকটি ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি কলা ভবন-রেজিস্ট্রার ভবন-রোকেয়া হল হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
সংহতি সমাবেশে আন্দোলনাকরী শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ৯ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছিল যে ৩০ শে জুনের মধ্যে যদি ১৮ সালের পরিপত্র বহাল না করা হয় তাহলে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ পহেলা জুলাই থেকে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা সারা বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থীরা একযোগে একই কর্মসূচি পালন করছি।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আমাদের মূল দাবী ১৮ সালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কতৃক জারিকৃত পরিপত্র বহাল থাকুক।এরপর যদি সরকার পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর জন্য কোটার ব্যবস্থা করতে চায় তবে সকল স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে একটি কমিশন গঠন করতে হবে এবং সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে কোটার পরিমান নির্ণয় করতে পারবে। কোটাকে নূন্যতম পর্যায়ে নিয়ে এসে মেধাবীদের যোগ্য মূল্যায়নের মাধ্যমে একটি মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে আমাদের আন্দোলন পরিচালিত হবে।
এসময় আন্দোলরত শিক্ষার্থী দাবি না মানলে লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা দেন। এছাড়া আগামীকাল মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় গণ-পদযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরেসমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা চারটি দাবি উত্থাপন করেন।
দাবিগুলো হলো:-
১. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে।
২. ১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।
৩. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।
৪. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
দাবি উত্থাপনের পর শিক্ষার্থীরা পুনরায় মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমানের কাছে যান। এসময় তারা প্রক্টরের কাছে সারাদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি খোলা রাখা এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে হল, ক্যান্টিন খোলা রাখাসহ সব শিক্ষার্থী সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর