ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হচ্ছে। নদ নদীর পানি বাড়তে থাকায় নিম্নাঞ্চলের বসত বাড়িতে পানি উঠতে শুরু করেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক পানিতে ডুবে গিয়ে জেলার সাথে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে কয়েকটি উপজেলার।
সোমবার (১ জুলাই)সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানিয়েছেন,সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১২সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি হয়েছে ১৭০ মি:মি। মেঘালয়ে বৃষ্টিপাত তুলনামূলক কম আছে তাই পানি ধীরে বাড়ছে। গেলো ২৪ ঘণ্টায় মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ৩১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, জেলার ছাতক উপজেলার সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমানার ২৩ সেন্টিমিটার ও তাহিরপুরের যাদুকাটা নদীর পানি বিপদ সীমানার ৯৬ সেন্টিমিটারের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি আরও জানান,টানা বৃষ্টিপাত হবে,এতে করে নদ নদীর পানি বাড়বে, কোনো এলাকায় বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। নীচু এলাকায় বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে আবারও ভারত থেকে যাদুকাটা নদী দিয়ে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা কয়েকটি স্থানে ভাঙন ও পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বাঘমারা থেকে তাহিরপুরের আনোয়ারপুর পর্যন্ত নৌকা দিয়ে চলাচল করছেন মানুষজন। আর নৌকায় পরিবহনে জনপ্রতি ৫০ টাকা,মটর সাইকেল ১০০-১৫০ টাকা নিয়ে নৌ চালকরা পারাপার করছে।
জেলার তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামিলীগের সদস্য,তাহিরপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সেলিম আখঞ্জি জানান,নদীর তীরবর্তী বসত বাড়ি ও নীচু এলাকার বাড়ি ঘরের উঠে যাবে পানি আরও একটু পানি বাড়লে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাজার হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। উপজেলার সাথে জেলা যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ বন্ধ সবাই নৌকা দিয়ে চলাচল করছে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরি জানান জেলায় বন্যা মোকাবেলা আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র গুলো খোলা রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর