
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামীণ রাস্তাগুলো বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। গ্রামীণ এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যে এখনো জোটেনি শহরের সুযোগ সুবিধা। রাস্তাগুলো জন গুরুত্বপূর্ণ হলেও এখনো মাটির পরিবর্তে ইটের ছোঁয়া স্পর্শ করেনি। যার কারণে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চাকাও যেনো থমকে দাঁড়িয়ে আছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ৩ নং ইউপির চাঁদপাড়া বাজারের চারমাথা মোড় থেকে শুরু করে রাণীগঞ্জ বাজার রোড কামাডুবা ঘাট ব্রিজ পর্যন্ত দেড় থেকে থেকে দুই কিলোমিটার ও বাজারের দক্ষিণ পাশে ব্রিজের পর কাঁচা রাস্তা থেকে শুরু করে ঋষিঘাট চারমাথা মোড় হয়ে খায়রুল মিশন মোড় কাঠের ব্রিজ পর্যন্ত গ্রামীণ সড়কের কাঁচা রাস্তাগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
অপরদিকে, উপজেলার চেচুড়িয়া গ্রামসহ অসংখ্য গ্রামের কাঁচা রাস্তাগুলো এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। বিশেষ করে চলতি ঘন বর্ষায় লাল কাদা মাটি রাস্তা গুলিতে অতি কষ্টে রিকশা ভ্যান চালকেরা যাতায়াত করায় দেখলে মনে হয় জমি রোপণের জন্য এগুলোতে হাল চাষ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই অবহেলিত উপজেলায় অনুমান ৪০ ভাগ পাকা রাস্তা হয়েছে। বাকি ৬০ ভাগ এখনো কাঁচা রাস্তা রয়েছে। তবে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার না থাকায় সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সুলতান মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, উপজেলার যতগুলো কাঁচা রাস্তা আছে সেগুলোর নিয়মমাফিক আইডি তৈরি করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অনুমোদন পাওয়া যায়নি। তবে দিনাজপুর ৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের নির্দেশনায় আমরা সবগুলো কাঁচা রাস্তার আইডি তৈরি করেছি।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, এটির পূর্ণাঙ্গ তথ্য উপজেলা প্রকৌশল অফিস দিতে পারবে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর