
নেত্রকোণা জেলার বিভিন্ন উপজেলার অন্তত ৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঢলের পানি প্রবেশ করেছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে কোমলমতি শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম।
কোথাও সামান্য কয়েকজন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসতে পেরেছে। এমনও বিদ্যালয় রয়েছে সেখানে কোনো শিক্ষার্থীই যায়নি। বিশেষ করে ভারি বৃষ্টির মধ্যে বিদ্যালয়গুলোতে এই অবস্থা চলছে। বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান খান।
এদিকে টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে জেলার প্রধান নদী কলমাকান্দার উব্ধাখালির পানি এখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এতে করে উপজেলার আটটি ইউনিয়েনের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে সদর, পোগলা, বড়খাপন ও কৈলাটি ইউনিয়েনের নিম্নাঞ্চল বেশি প্লাবিত হওয়ায় সেখানকার মানুষের বাড়ি-ঘরেও পানি ঢুকেছে।
বন্যার অবনতি হলে তা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। এমনটাই জানিয়েছেন কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান।
অন্যদিকে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য মতে বুধবার সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত জেলার সোমেশ্বরী নদীর পানি কিছুটা কমতির দিকে। উব্ধাখালি আর কংশের পানি স্থিতিশীল রয়েছে। কিছুটা বেড়েছে ধনু নদীর পানি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারোয়ার জাহান বলেন, উব্ধাখালি নদীর পানি কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । আর কংশ নদের পানি জারিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর হাওরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া ধনু নদের পানি খালিয়াজুরী পয়েন্টে বেড়ে বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সব মিলিয়ে জেলায় বন্যার পানিতে গ্রামীণ সংযোগ সড়কগুলো তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ বেড়েছে। গো-খাদ্য নিয়ে কৃষকেরা বিপাকে পড়েছেন। কোথাও কোথাও বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর