গত ২৮ এপ্রিল উপাচার্য অধ্যাপক ড.এ এফ এম আবদুল মঈন এর হাতে মারধরের শিকার হয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো মোর্শেদ রায়হান বিচারের দাবিতে একক অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
আজ বুধবার (৩ জুলাই) দুপুর ১টা থেকে ২ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই কর্মসূচি পালন করেন। এসময় শিক্ষক সমিতির সদস্যরা একাত্মতা পোষণ করেন।
জানা যায়, একই ঘটনায় হামলায় শিকার হওয়া বাংলা বিভাগের শিক্ষক মোকাদ্দেস উল ইসলাম বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। ঘটনার ২ মাস পার হলেও বিচার পায়নি শিক্ষকরা। উদ্বেগ প্রকাশ করে সংশ্লিষ্টরা বলছেন উপাচার্য নিজের বলয় তৈরি করার জন্য একের পর এক অন্যায়-অনিয়মকে প্রশ্রয় দিয়ে বিচারহীনতা আর বৈষম্য তৈরি করছেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষক মোর্শেদ রহমান হিমু বলেন, গত ২৮ এপ্রিল উপাচার্য আমাকে কনুই দিয়ে আঘাত করেন। একজন উপাচার্য যখন শিক্ষকদের উপর হামলা করেন তখন শিক্ষকদের আর নিরাপত্তা থাকে না। এ হামলা শুধু শিক্ষকদের উপর ছিল না গোটা বাংলাদেশের শিক্ষক সমাজের উপর ছিল।ঘটনার ২ মাস পার হলেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় নি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে। শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি। সে সাথে উপাচার্যের পদত্যাগ চাচ্ছি।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, তিনি সব সময় দুর্নীতির মাঝে নিমজ্জিত থাকেন। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মাঝে যে ধরনের নেতৃত্ব এবং ব্যক্তিত্ব থাকার কথা ওনি কোনোটাই ধারণ করেন না। তিনি এখনো সেই দুষ্কৃতকারী এবং সন্ত্রাসীদের ধারা আবিষ্কৃত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করার মগ্ন আছেন।
উপাচার্যের উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের যে নিয়মনীতি রয়েছে সেটা তিনি না মেনেই গত আড়াই বছর ধরে সিনিয়র শিক্ষকদের পদোন্নতি আটকে রাখেন। প্রক্টরকে অপসারণের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরও বলেন, প্রক্টরকে অবৈধভাবে চেয়ারে বসিয়ে তার অবৈধ ডিগ্রি বৈধ করার জন্য চেষ্টা করছেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনি প্রশাসনিক সন্ত্রাসী কায়েম করার চেষ্টা করছেন সেটার আর সুযোগ দেওয়া হবে না।
শিক্ষক সমিতির সহ সভাপতি কাজী কামাল উদ্দিন বলেন, এ উপাচার্যকে নিয়ে কথা বলতে আমাদের লজ্জা লাগে। সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তি হয়ে যখন শিক্ষকদের উপর হামলা করে তখন আর শিক্ষকদের নিরাপত্তা থাকে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার আর কোনো নৈতিকতা রাখে না। আমরা লজ্জা পাই আপনি কেন পদত্যাগ করেন না। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০% বেশি শিক্ষক আপনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আপনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করুন আর না হয় আগামীতে সে কর্মসূচি আরো ভয়াবহ হবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর