প্রথম দফা বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে দ্বিতীয় দফায় আবারও বন্যার মুখোমুখি নবীগঞ্জ উপজেলার তিন ইউনিয়নের মানুষ। গত কয়েক দিন পূর্বে উজানের পাহাড়ি ঢল ও অবিরাম বৃষ্টির ফলে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ, দীঘলবাক ও আউশকান্দি ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়। পানিবন্দি হয়ে পড়েন হাজার হাজার মানুষ। পরিবার নিয়ে উঠেন আশ্রয় কেন্দ্রে। সরকারের পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে দেয়া হয় ত্রাণ।
পরবর্তীতে বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলে কিছু কিছু বাড়ী ঘর ও রাস্তাঘাট থেকে পানি নেমে যায়। বানবাসী মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেন। এরি মধ্যে গত রবিবার থেকে শুরু মুশলদারে বৃষ্টি। কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টির ফলে ও উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নেমে আসার কারণে কুশিয়ারা নদীর পানি আবারো বৃদ্ধি পেয়ে নবীগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ উপচে বন্যার পানি প্রবেশ করছে। ফলে উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বান্দেরবাজার-কসবা সড়ক ডুবে দ্রুত গতিতে পানি প্রবেশ করছে।
কসবা গ্রাম, কসবা বাজারসহ কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করছে। দীঘলবাক ইউনিয়নের রাধাপুর, ফাদুল্লাহ, দুর্গাপুর, মথুরাপুর, হোসেনপুর, মাধবপুর, পশ্চিম মাধবপুর, গালিমপুর, আউশকান্দি ইউনিয়নের পাহাড়পুর, পারকুল, উমরপুর, দীঘর ব্রাহ্মণগ্রাম, ইনাতগঞ্জের উমরপুর, মোস্তফাপুর, দক্ষিণগ্রাম, পাঠানহাটি, মনসুরপুর, দরবেশপুর, দিঘীরপাড়, নোয়াগাঁও, চন্ডিপুর, লালাপুর, লামলীপাড়, বানিউন, আউশকান্দির বনগাঁও, পারকুল গ্রাম পুরোপুরি পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় ভয়াবহ রূপ আকার ধারণ করছে বন্যা। মানবেতর জীবনযাপন করছেন সাধারণ মানুষ। দিশেহারা অসহায় মানুষজন ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়স্থলে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে, ইনাতগঞ্জের মোস্তফাপুর পাঠানহাটি গ্রামের পাকা সড়ক, দীঘলবাক গ্রামের পাকাসড়ক সহ ১০-১২টি পাকা সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাশ অনুপ বলেন, ইতিমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর