সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় হাইকোর্টের দেয়া রায়কে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, সন্তান ও প্রজন্মকে অবমাননার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করেছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম।
বুধবার (৩ জুলাই) বেলা তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম’র ব্যানারে এ মানববন্ধন করেন তারা।
কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালের প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে বিভিন্ন বক্তব্যে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, সন্তান ও প্রজন্মকে অবমাননা করা হচ্ছে অভিযোগ করে এর প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবিতে) মানববন্ধন করা হয়েছে।
এসময় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম'র দপ্তর সম্পাদক জাহিদ হাসান বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্ম, এ কোটা আমাদের অধিকার। সংবিধানে বলেই হাইকোর্ট এ রায় দেয়। কিন্তু কোটার বিরুদ্ধে জামাত-শিবির সোচ্চার হয়েছে। এর মানে কি? এর মানে তারা কখনো মুক্তিযুদ্ধকে মেনে নিতে পারেনি।
বক্তব্যে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আহাম্মদ কবির হৃদয় বলেন, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে তাদের জন্য কোটা ব্যবস্থা চালু করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো জামাত-বিএনপি সরকার আমাদের এ অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। আপনারা বলেন আমরা ৫২ বছর ধরে কোটা অধিকার ভোগ করছি, অথচ কাগজে-কলমে আমরা পাঁচ বছরও এ অধিকার ভোগ করতে পারিনি।
তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী আসাদুল আলম বলেন, যারা নিজের স্বার্থ, পরিবারের ভবিষ্যৎ চিন্তা না করে নিজের জীবন বাজি রেখে দেশ স্বাধীন করলো, সেই মুক্তিযোদ্ধাদের যারা সম্মান করতে পারে না আর যাই হোক তারা দেশপ্রমিক হতে পারে না, তারা স্বার্থসন্ধানী। দেশের প্রয়োজনে তারা কখনও এগিয়ে আসবে না, এগিয়ে আসবে ওই মুক্তিযোদ্ধার পরবর্তী প্রজন্মরাই। আমি গর্বিত আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর