‘চাকরিতে কোটা, মানি না, মানবো না’, শেখ হাসিনার বাংলায়/শেখ মুজিবের বাংলায়, কোটার ঠাঁই নাই’, মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, কোটার ঠাঁই নাই’, 'সারা বাংলায় খবর দে কোটা প্রথা কবর দে', 'কোটা পদ্ধতি নিপাত যাক মেধাবীরা মুক্তি পাক’ সহ নানা স্লোগানে ৩য় দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধধবার (৩ জুলাই) দুপুর তিনটায় তাতীবাজারে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে তারা। ফলে সড়কটিতে প্রায় ৪০ মিনিট যান চলাচল বন্ধ ছিল।
আন্দোলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সোহান বলেন, আমরা মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ চাই। সব শিক্ষার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হোক। অবিলম্বে কোটা পদ্ধতি স্থায়ীভাবে বাতিল ঘোষণা করতে হবে। আমরা মনে করি, কোটা ব্যবস্থা মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
আরেক শিক্ষার্থী মেহেরুন্নেসা হিমু বলেন, আমরা চাই আমাদের দেশে নারী কোটা সহ যত ধরনের কোটা আছে সব বাতিল করা হোক। কারণ আমরা নারীরা এখন আর মেধার দিক থেকে পিছিয়ে নেই। চাকরির বাজারে যদি মেধার যথাযথ মূল্যায়ন না করা হয় তাহলে সেটা হবে ভবিষ্যতের জন্য অশনি সংকেত। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
এসময় আন্দোলকারীদের পক্ষে সাজ্জাদ হোসাইন মুন্না বলেন, ছাত্রসমাজকে দাবিয়ে রাখা যায় না। আমরা ২০১৮ সালে প্রমাণ করেছি, ২০২৪ সালেও আমরা আমাদের দাবি আদায় করতে চাই। আমরা আমাদের আগের ৪ দফা দাবি পুনরায় পেশ করছি।
শিক্ষার্থীদের ৪ দফা দাবি হলো- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে; ১৮' এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে; সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে; দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর