ভারতের মাটিতে সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের মাঝেই চূড়ান্ত হয়েছিল আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ২০২৫ আসরে অংশ নেবে যে আট দেশ। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের মাটিতে আইসিসির অন্যতম আকর্ষণীয় টুর্নামেন্টটি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সম্ভাব্য সূচি আইসিসির কাছে পাঠাল আয়োজক দেশটির ক্রিকেট বোর্ড পিসিবি। যেখানে বাংলাদেশকে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে ‘এ’ গ্রুপে রাখা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আগামী ১ মার্চ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ রেখেছে পিসিবি। এ নিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, লাহোরে সেই ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যদিও পাকিস্তানের সেই মনোবাসনা আদৌও পূরণ হবে কিনা, তা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসআই) ওপরই নির্ভর করছে। কারণ এখন পর্যন্ত পাকিস্তান বোর্ডের প্রস্তাবিত সূচিতে সায় দেয়নি বিসিসিআই। পরবর্তীতে সেই বিষয়ে বিসিসিআই সিদ্ধান্ত জানাবে বলে উল্লেখ করেছেন আইসিসির ওই কর্মকর্তা।
পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইসিসির কাছে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পূর্ণাঙ্গ সূচি জমা দিয়েছেন পাকিস্তান বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। সুরক্ষাজনিত কারণে ভারতের সব ম্যাচ রাখা হয়েছে লাহোরে। আইসিসির ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ১৫ ম্যাচের জন্য একটি খসড়া সূচি জমা দিয়েছে পিসিবি। এর মধ্যে সাতটি ম্যাচ রাখা হয়েছে লাহোরে। করাচিতে রাখা হয়েছে তিনটি ম্যাচ। রাওয়ালপিণ্ডিতে পাঁচটি ম্যাচ রাখা হয়েছে। উদ্বোধনী ম্যাচ রাখা হয়েছে করাচিতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি সেমিফাইনাল হবে করাচিতে। রাওয়ালপিণ্ডিতে অপর সেমিফাইনাল রাখা হয়েছে। ফাইনাল হবে লাহোরে। ভারত সব ম্যাচ লাহোরে খেলবে। এ ছাড়া তারা যদি সেমিফাইনালে ওঠে, তাহলেও সেই ম্যাচটিও লাহোরে খেলা হবে। বিসিসিআই ছাড়া আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যেসব দেশ অংশগ্রহণ করছে, সেসব দেশের বোর্ড প্রধানরা আশ্বস্ত করেছেন তারা সবধরনের সহযোগিতা করবেন। তবে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবে বিসিসিআই। তারপর আইসিসিকে জানাবে।’
২০২৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হবে। চলবে আগামী ৯ মার্চ পর্যন্ত, অর্থাৎ সেদিন ফাইনাল হবে। যেখানে শুধুমাত্র ফাইনালের জন্য ‘রিজার্ভ ডে’ রাখা হয়েছে। গ্রুপপর্বে আটটি দলকে ভাগ করা হয়েছে দুটি গ্রুপে।
উল্লেখ্য, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সবশেষ আসর বসেছিল ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে। এর আগে ২০১৩ আসরের আয়োজকও ছিল তারা। দুই আসরেই নির্দিষ্ট একটি সময়ের মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ের সেরা আটে থাকা দলগুলো পেয়েছিল খেলার সুযোগ। প্রায় আট বছর পর হতে যাওয়া নতুন আসরে বদলে ফেলা হয়েছে এই নিয়ম। স্বাগতিক হিসেবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সুযোগ পাচ্ছে পাকিস্তান। তারা ছাড়া ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে পয়েন্ট টেবিলের প্রথম সাত দল পেয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টিকিট।
তবে এবারের আসরে খেলতে পারবে না ২০০২ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে স্রেফ দুই জয় পাওয়ায় তারা ছিল টেবিলে সাতের বাইরে, ফলে খেলতে পারবে না চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। আগের আট আসরের প্রতিটিতেই খেলেছে তারা। ২০০২ সালে ঘরের মাঠের আসরে তারা হয়েছিল যৌথ চ্যাম্পিয়ন। এবারই প্রথম তাদের খেলা হবে না এই টুর্নামেন্টে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর