
জয়পুরহাটের কালাইয়ে পাকা সড়কের কালভার্ট ভেঙে পড়ায় প্রতিনিয়ত চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে কয়েকটি গ্রামের মানুষসহ হাজার হাজার পথচারী। গত ছয় মাস ধরে কালভার্টটি ভেঙ্গে পড়ে থাকলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি কেউ। ওই কালভার্টের উপর দিয়ে ভ্যান, ট্রলি, ভটভটি, ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
এতে মাঝেমধ্যে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটলেও যেকোনো মুহূর্তে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়াও কৃষকের উৎপাদিত ফসল আনা নেওয়া ও শিক্ষার্থীদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের মোসলেমগঞ্জ-পানিতলা রাস্তায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই রাস্তার ত্রিখোলা থেকে শেখপুর গ্রামের রাস্তার মাঝখানে অবস্থিত কালভার্টটির একপাশে ঢালাই ধসে রড বের হয়ে আছে। ভাঙা কালভার্টের উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত চলছে বিভিন্ন ধরনের শতশত গাড়ি। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা পুর গ্রামের আমিরুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগে ভাঙা ওই কালভার্টে মোটরসাইকেল ও অটোভ্যান পরে গিয়ে দুইজন ব্যক্তি মোটামুটি ভাবে আহত হয়। উপায় না পেয়ে ঝুঁকি নিয়েই আমাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বহন করতে হয়। দ্রুত এর সমাধান না করলে আরো বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
মালটিয়া গ্রামের মজনু আমীন বলেন, ৬ মাসের অধিক এ কালভার্টটি একপাশে ধসে আছে। দেখার যেন কেউ নেই। আমিসহ হাজার হাজার মানুষকে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। অনেক সময় মনেই থাকেনা কালভার্টটি ধসে গেছে। কালভার্টি যেন এখন একটি মৃত্যু ফাঁদ। চলাচলে খুব ঝুঁকিপূর্ণ মনে হলেও প্রয়োজনের তাগিদে বাধ্য হয়ে যাতায়াত করতে হয়।
ইজিবাইক চালক নুর ইসলাম ও মামুন, অটো ভ্যান চালক সোহেল, ট্রলি চালক আ. কাদের, ধানের ফড়িয়া ব্যবসায়ী মুমিন বলেন, কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় চলাচল অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। বর্তমানে এটি নাজুক অবস্থায় থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেই গাড়ি চালকদের কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য নিয়ে যেতে হচ্ছে। তাছাড়া কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা কালভার্টের উপর দিয়ে যানবাহনে যাতায়াত করছে। অনেক দিন ধরে ভাঙা থাকায় কালভার্টের ধসে যাওয়া অংশটি ধীরে ধীরে বড় হয়ে যাচ্ছে। ফলে, দিন দিন ঝুঁকি আরো বাড়ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী সামিন শারার ফুয়াদ বলেন, আমি অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে উপজেলায় আসলাম মাত্র। এখন আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। খোঁজ নিয়ে পরে বলতে পারবো।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর