• ঢাকা
  • ঢাকা, রবিবার, ০৭ জুলাই, ২০২৪
  • শেষ আপডেট ১৩ মিনিট পূর্বে
প্রচ্ছদ / জাতীয় / বিস্তারিত
নিউজ ডেস্ক
বিডি২৪লাইভ, ঢাকা
প্রকাশিত : ০৪ জুলাই, ২০২৪, ০৫:৫৩ বিকাল
bd24live style=

তালিকা তৈরি হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তাদের

ছবি: সংগৃহীত

ভোল পালটে, পরিচয় গোপন করে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ঘাপটি মেরে বসেছে রাজাকার, আলবদর ও আলসামসের কর্মকর্তাদের সন্তান-স্বজনরা। ছাত্র অবস্থায় শিবির ও ছাত্রদল করেছেন, এমন অনেকেই এখন বড় আওয়ামী লীগার। আবার অনেকে পিতার নামে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বানিয়ে নিয়ে সরকারের কাছ থেকে সর্বাধিক সুযোগ-সুবিধাও নিয়েছেন। তারা একদিকে অনৈতিকভাবে অর্থ উপার্জন করছেন, অন্যদিকে দেশে-বিদেশে তথ্য ফাঁস করছেন সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে এই কাজ করছেন অনেকে। তারা পদোন্নতি ও সুযোগসুবিধা পাচ্ছেন। তথ্য গোপন করে সুযোগসুবিধা গ্রহণকারী সরকারি কর্মকর্তাদের তালিকা করছেন একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। 

এছাড়া মন্ত্রণালয় থেকে অধিদপ্তর এবং মাঠ পর্যায় পর্যন্ত স্ব স্ব প্রশাসন এসব সুবিধাভোগী রাজাকারের পোষ্যদের চিহ্নিত করতে কাজ করছে। এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ‘ছাগলকাণ্ডের’ মতিউর সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধানে কাজ শুরু করেছে।

ছাগলকাণ্ডের পর ড. মতিউর রহমানের হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ দেশে-বিদেশে থাকার তথ্য বেরিয়ে আসে। মতিউর এনবিআরে থাকা অবস্থায় হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়েছেন। অনেক দলীয় নেতা, বড় বড় ব্যবসায়ী, আমলা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য, স্থলবন্দর-বিমানবন্দর দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালানকারী ছাড়াও যারা হাজার হাজার কোটি টাকার অবৈধ মালামাল এনেছেন, তারা মতিউর দ্বারা উপকৃত হয়েছেন। হাজার হাজার কোটি টাকার কর ফাঁকি দেওয়া ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হয়েছেন মতিউরের দ্বারা। তাই তাকে বাঁচানোর জন্য অনেকেই মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ইতিমধ্যে সুবিধাভোগীদের দ্বারা ‘মতিউর রক্ষা কমিটি’ গঠিত হয়ে গেছে। কারণ মতিউর রক্ষা না পেলে অনেকেই ফেঁসে যাবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ছাত্র ছিলেন মতিউর। এই বিভাগের ছাত্ররা সরকারের অর্থনৈতিক বিভাগের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। এই গ্রুপটাও মতিউরকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করছে। ছাত্রাবস্থায় মতিউর ছাত্র শিবির করতেন, পরবর্তীতে ভোল্ট পালটিয়ে আওয়ামী লীগার হয়ে যান। এভাবে বিরোধী মতাদর্শীরা নব্য আওয়ামী লীগার সেজে অর্থ-বিত্তের মালিক বনে যাচ্ছেন। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে অসংখ্য মতিউর রয়েছেন। রাজাকার, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার পোষ্যসহ দলবাজ, হাইব্রিড ও বিতর্কিতরা এখন নজরদারিতে রয়েছেন। 

জানা গেছে, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী থেকে হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের চেয়ারম্যান হয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন ডা. দিলীপ কুমার রায়। তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের একটি আলোচনাসভায় দলের এক শীর্ষ নেতার বক্তব্যের সময় তার পেছনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে ডা. দিলীপ কুমার রায়কে। এটি আরও বেশি সমালোচনার জন্ম দিয়েছে দলের মধ্যে এবং দলের বাইরে। একই সঙ্গে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, সরকারের অর্জন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। একজন দুর্নীতিবাজের জন্য এই অর্জন ম্লান হবে তা কারো কাম্য নয়।

রাজাকার, আলবদর ও আলসামসের কর্মকর্তাদের সন্তান-স্বজনদের ব্যাপারে সরকারকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, তারা সরকারের জন্য বিপজ্জনক। তাদের বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে। রাজাকারের সন্তান-স্বজনদের কারণে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সৎ নিষ্ঠাবান কর্মকর্তারা কাজ করতে পারছেন না। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে রাজাকারের সন্তান-স্বজনদের দাপট বেশি। একজন পিয়ন পর্যন্ত কোটি কোটি টাকার মালিক। অবৈধ অর্থ-সম্পদের মালিক বনে যাওয়া অনেক আমলা রয়েছেন। তাদের তালিকা হয়েছে। আমলাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২৫২ জন কর্মকর্তা বিদেশে বিপুল অর্থ পাচার করেছেন, তাদেরও তালিকা করা হয়েছে। এই তথ্য সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এদিকে রাজাকার পরিবারের সন্তান-স্বজনদের দাপটে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও ত্যাগী নেতার পরিবারের সন্তানরা প্রশাসন এবং দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। রাজাকার পরিবারের সন্তান-স্বজনরা অনেক নেতাকে প্রতি মাসে উৎকোচ দিয়ে টিকে আছে। তথ্য পাচার করার কারণে ইতিমধ্যে একজন পুলিশের চাকরি চলে গেছে।

প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, সরকারের ভেতরে থেকে রাজাকার-আলবদরের পোষ্যরা সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র লিপ্ত। কেউ কেউ এমপি হয়েছেন। সর্বাধিক সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসছেন। 

বাঁধন/সিইচা/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ info@bd24live.com
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
ইমেইলঃ office.bd24live@gmail.com