সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে জারিকৃত সরকারি পরিপত্রের অংশবিশেষ অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে গভীর উদ্বেগ ও শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিএনপি জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই সংহতি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- আমরা মনে করি, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের অবদানের স্বীকৃতি এবং সম্মান জানানোর অন্য আরও অনেক বিকল্প আছে। সে বিকল্পগুলো বংশ পরম্পরায়ও চলতে পারে। কিন্তু তা না করে চাকরিতে বংশ পরম্পরায় ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখা অযৌক্তিক বলে আমরা মনে করি। কারণ এর ফলে বেকার সমস্যা যেমন প্রবল হবে, তেমনি তুলনামূলকভাবে যোগ্য ও মেধাবীরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে সাদা দল বলে, এটি এক ধরনের বৈষম্যও বটে। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের সাথেও তা সংগতিপূর্ণ নয়। পুনশ্চ উল্লেখ্য যে, আমাদের সংবিধানে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা রাখার কথা বলা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সকলেই অনগ্রসর নয়। তাই ঢালাওভাবে সকলকে কোটা সুবিধা প্রদান সংবিধানের চেতনারও পরিপন্থি বলে আমরা মনে করি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে জারিকৃত সরকারি পরিপত্রের অংশবিশেষ অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। একই সাথে কোটাব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের চলমান আন্দোলনের প্রতি আমরা সমর্থন জানাচ্ছি।
২০১৮ সালের চরম আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার অক্টোবর মাসে পরিপত্র ঘোষণা করে সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থাকে বাতিল করে দেয়। ওই পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ জুন পরিপত্রটি বাতিল করে দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। এরপর আবারো ক্যাম্পাসগুলোতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর