নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের জ্যেষ্ঠতা ও নীতিমালা না মেনে পদায়ন দেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ এনে বলা হয়েছে যা নির্বচিন কমিশন সচিবালয় ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাঝে হতাশা সৃষ্টি করছে। যা ইতোমধ্যে সচিবসহ মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার মহোয়গণকে অবগত করা হয়েছে বলেও জানা যায় চিঠি থেকে।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে নামহীন এক চিঠি দিয়ে এমন তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও মাঠ পর্যায়ের ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা।
চিঠিতে বলা হয়েছে,গভীর সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মাঠ পর্যায় ও সচিবালয় পদায়নের ক্ষেত্রে বৈষম্য নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। বিদ্যমান মেধাক্রম বা গ্রেডেশন তালিকা অনুযায়ী পদায়ন কারা হচ্ছে না। যা নির্বচিন • কমিশন সচিবালয় ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাঝে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যমান ৬৪টি জেলার মধ্যে ১৯টি সিনিয়র জেলা
নির্বাচন অফিস রয়েছে যা উপসচিব পদমর্যাদার।
১৯টি সিনিয়র জেলার মধ্যে ৮ (আট)টি জেলায় মেধাক্রম বা সিনিয়র কর্মকর্তাগণকে প্রাধান্য না দিয়ে অধিকতর জুনিয়রগন কর্মকর্তাগণকে পদায়ন করা হয়েছে। উল্লেখ্য জেলাসমূহ সিলেট, ময়মনসিংহ, টাংঙ্গাইল, বগুড়া, দিনাজপুর, পাবনা, কুষ্টিয়া এবং খুলনা। ৪৫টি জেলার মধ্যে ৩৯ জন কর্মকর্তা রয়েছেন যারা ৪র্থ গ্রেড প্রাপ্ত (উপ-সচিব ও উপ-সচিব (চলতি দায়িত্ব) রয়েছেন। ৪র্থ গ্রেড প্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ জেলা নির্বাচন অফিসার এবংঅতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত আছেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে,জেলা নির্বাচন অফিসার হিসাবেও পদোন্নতি পায়নি এমন কর্মকর্তাগণ (অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার হিসাবে পদোন্নতি প্রাপ্ত) উপ-সচিব পদমর্যাদার সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগে উপ-সচিব, সিনিয়র সহকারী সচিব, উপ-পরিচালক পদে দীর্ঘদিন যাবৎ কর্মরত বা পদায়িত আছেন। যা বৈষম্য মূলক।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর
জাতীয় এর সর্বশেষ খবর