
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ছোটদের সুন্দর জীবন নিশ্চিত করাই ছিল বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য। আজকের ছোট শিশুরাই হবে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব। শিশুরাই হবে আসল স্মার্ট, তারাই দেশ চালাবে। আমরাও একসময় চাঁদে যাব। সেভাবেই সবাইকে এখন থেকে প্রস্তুত হতে হবে। এজন্য পড়াশোনা করতে হবে।’
শনিবার (৬ জুলাই) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত গিমাডাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন এবং ‘এসো বঙ্গবন্ধুকে জানি’ শীর্ষক অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করেন। এরপর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘৭৫ পরবর্তীতে এদেশের ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে, এটাই দুর্ভাগ্য। দেশের মানুষের জানা উচিত কীভাবে স্বাধীনতা এলো।’
এ সময় স্বাধীনতার পর দেশ গড়তে বঙ্গবন্ধুর কাজগুলো সবার সামনে তুলে ধরার প্রয়োজনীতার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।
টুঙ্গিপাড়া গিমাডাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন এবং ‘এসো বঙ্গবন্ধুকে জানি’ শীর্ষক অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচনের পর বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত এ স্কুলের প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে তাদের খোঁজখবর নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এরপর খুঁদে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছবি তোলেন তিনি।
গোপালগঞ্জ সফরের দ্বিতীয় দিন টুঙ্গিপাড়া মাল্টিপারপাস পৌর সুপার মার্কেট পরিদর্শন করেন শেখ হাসিনা। এ সময় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা এবং মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার সমাধিসৌধে ফাতেহাপাঠ ও বিশেষ দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেন। এ ছাড়া দাদা শেখ লুৎফর রহমান ও দাদি শেখ সায়েরা খাতুনের কবরে দোয়া-মোনাজাত করেন তিনি।
দুপুর দেড়টার দিকে টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়ক পথে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন সরকারপ্রধান।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর